নিহত বাম যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্য়া (Maidul Islam Mriddha)-র পরিবারকে চাকরি দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর বক্তব্য, এর আগে তাঁদের দলের অনেকে মারা গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও আবেগ দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এতদিন তার কোনও আবেগ দেখা যায়নি। আমাদের দলের অনেকে খুন হয়েছেন। তখন কোনও সমবেদনা দেখতে পাইনি। না নিহতদের প্রতি, না নিহতদের পরিবারের প্রতি। এখন মরদেহ নিয়ে রাজনীতি করা হয়।
এদিন নিউটাউনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক রাজনৈতিক আন্দোলনে লাঠিচার্জ এখনকার নতুন ঘটনা আমাদের ১৩৫ জন কর্মী খুন হয়েছেন কিন্তু তাদের জন্য কেউ কোন চাকরির ব্যবস্থা করেনি আমরাই আমাদের নিহত কর্মীর পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি।
তিনি বলেন, এই তৈরি করা আন্দোলনের অনেককে ফায়দা নিতে চাইছে মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক কোন সন্দেহ নেই কিন্তু সিপিআইএম এবং কংগ্রেস এর পরিকল্পিত আন্দোলন লাঠিচার্জ করেছে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য করেছে। তারা চটজলদি ফায়দা চাইছে।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, আমি জানি না মৃত তৃণমূল কর্মীরা কোনও চাকরি পেয়েছেন কিনা এর পেছনে কি রাজনীতি চলছে তা বোঝা যায় তা রহস্যজনক হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর আবেগ দেখা যাচ্ছে আমি তাকে এর আগে কোন মানুষের মৃত্যুতে আবেগপ্রবণতা দেখিনি তাদেরকে সমবেদনা জানাতে দেখি নি এখন মরদেহ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বাংলাকে এর থেকে বেরোতে হবে বিরোধী দলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে।
তাঁর দাবি, সরকার কোন ভুল করলে আন্দোলনের মাত্রা আরো বাড়বে। তার দাবি বিরোধীদের না বোঝাতে পারলে আন্দোলন বড়োসড়ো আকার ধারণ করে এবং হিংস্র হয়ে ওঠে। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, অনেকেই বিজেপিকে আটকাতে চাইছে। তৃণমূল নেতা তাপস বাবু ইতিমধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ার কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, তারা বুঝেছেন তারা একা পারবেন না আর তাই তারা জোট বাঁধার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ আর অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা বিজেপির। বিজেপির পতাকার তলায় আসছেন আর এই অপশাসনের বিরুদ্ধে জোরদার আওয়াজ তুলছেন।