তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে। পঞ্চম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিন ভোট চলাকালিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়নীলপুর এলাকায় হঠাৎই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি। সংঘর্ষে আহত হন এক তৃণমূল কর্মীও।
জানা গেছে এদিন নির্বাচন চলার সময় এলাকার একটি বুথের বাইরে জমা হন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। যার জেরে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। এরপরেই একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকেন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। তাতে আহত হন এক তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ারাও। এরপর তাঁরাই দুপক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
অন্যদিকে এদিন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্রকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ ওটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগানও। পালটা তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়ের দাবি, অসত্য কথা বলছেন বিজেপি প্রার্থী। একই সঙ্গে পার্নো কেন অনেকগুলো গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন সেই প্রশ্নও তোলেন তাপসবাবু।
জানা গিয়েছে রিগিং-এর অভিযোগ পেয়ে বরানগর বিধানসভা এলাকার ওই বুথে পৌঁছান বিজেপি প্রার্থী পার্নো মিত্র। অভিযোগ, সেই সময় বুথের পাশের একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে বেশ কয়েকজন বেরিয়ে এসে পার্নোকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পার্নোর উদ্দেশ্যে ওঠে 'গো ব্যাক' স্লোগান। দেখতে দেখতে বহু লোক জরো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও RAF। লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করা হয় জনতাকে। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়। পার্নোকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন তিনি। উল্টে পার্নো কেন সকাল থেকে একাধিক গাড়ি নিয়ে ঘুরছেন সেই প্রশ্ন তোলেন তাপস রায়। তাঁর দাবি, এই বিষয়ে সকাল থেকে পুলিশ অবসারভার,পুলিশ এবং আরও-কে জানিয়েছেন, কিন্তু কোনও কাজের কাজ হয়নি। এরপর বিষয়টি তিনি কমিশনের কাছেও তুলে ধরবেন বলেও জানান তাপস রায়।