বিজেপি (BJP) কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার (Kalna) কল্যাণপুরের কামারপাড়ায়। ঘটনায় অভিযোগে তীর তৃণমূলের (TMC) দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতের পরিবারে।
পঞ্চম দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয় পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। তারপরেই ঘটে গিয়েছে এই ঘটনা। রীতমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ পঞ্চম দফার নির্বাচনের পর থেকেই অখিল প্রামাণিককে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। এরপর এদিন ভোরে কাঠ কুড়োতে যান অখিল প্রামাণিক। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় খুঁজতে যান তাঁর স্ত্রী। তিনি দেখেন একটি গাছের তলায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন অখিলবাবু। এরপর কাছে গিয়ে দেখতে পান গলায় দড়ি দেওয়া মৃতদেহ। হুমকির পরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারে। গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর বিজেপির দিকে।
এই প্রসঙ্গে কালনার বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর অভিযোগ, 'তৃণমূল বুঝতে পেরেছে যে তারা হারছে। সেকারণেই তারা ভয় দেখানোর জন্য বিজেপি কর্মীদের এভাবে হত্যা করছে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই এই হত্যা। এটাকে হত্যা বলার কারণ গ্রামবাসীরা ও পরিবারের লোকজন এবং সকলে দেখেছেন মৃতদেহকে মাটিতে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। গলায় দড়ি দিলে যেসব সিমটম দেখা যায় তোর কোনও কিছুই অখিল প্রামানিকের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।'
যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কল্যাণপুরের তৃণমূল নেতা পিন্টু খামারুর বক্তব্য, 'পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন অখিল প্রামানিক। খুবই দরিদ্র। কিছুদিন ধরেই তাঁর শারীরিক অসুস্থতা চলছিল। পেটে পাথর হয়েছে। কিন্তু ডাক্তার ও ওষুধ যোগার করার সামর্থ্য নেই। বাড়িতে বলতে পারেনি। তাই মানসিক অবসাদের কারনেই আত্মহত্যা করেছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের হুমকি দেওয়ার কোনো যোগ নেই এবং তৃণমূল হুমকিও দেয়নি।'
প্রসঙ্গত ভোট পরবর্তী হিংসার খবর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকেই উঠে আসছে। রবিবার নদিয়ার চাকদায় এক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম দিলীপ কীর্তনিয়া। সেই ঘটনাতেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।