বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল। বুধবার দমদমের বকুলতলা এলাকায়। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদল তৃণমূল সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিন আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর হুঁশিয়ারি, যেখানে দলের কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে, সেখানে বৃহস্পতিবার ফের সভা করা হবে। এদিন সন্ধেবেলা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বকুলতলায় এলাকার ঘটনা। বিজেপি কর্মীদের সভা চলছিল সেখানে। আর তখনই তাদের ওপর তৃণমূল দুষ্কৃতীর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
বিজেপির দাবি, তারা ওই এলাকায় একটি সভার আয়োজন করেছিল। তা চলার সময় তাদের ওপর হামলা করা হয়। অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই হামলা করেছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।
এদিন বিজেপি আরও দাবি করেছে সভা করার জন্য তাদের অনুমতি ছিল। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা আলো বন্ধ করে দেয়। যাতে তারা কোনও সভা না করতে পারে। মারধরের ঘটনায় তাদের ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছে।
এদিন অগ্নিমিত্র জানান, বৃহস্পতিবার ফের সেখানে সভা করব। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। ওই এলাকার কর্মীদের নিয়ে একই জায়গায় সভা করব। যেখানে মহিলাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের পোশাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মিছিল করে আমরা সেখানে যাব এবং সেখানেই সভা করব। আমরা ইতিমধ্যে এফআইআর করেছি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজু সেনশর্মার স্ত্রী জয়ন্তী সেনশর্মাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। এটা পাকিস্তান নয়। আমাদের আপনারা আপনাদের ইচ্ছে মতো আটকাতে পারেন না
স্থানীয় বিজেপি নেত্রী রাখি চক্রবর্তীর অভিযোগ, আমরা পথসভা করছিলাম। পুলিশের অনুমতি ছিল। তখন তৃণমূল সেখানে জমায়েত করে। তারা পাল্টা সভা করতে আরম্ভ করে দেয়। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে একটি সভা শুরু করে দেয়। গত সপ্তাহে তারা আমাদের সভায় বাধা দিয়েছিল। তাই সেই সভা করতে পারিনি ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা করছিলাম তৃণমূল আলো নিভিয়ে দেয়। যদিও পরে আলো ফিরে আসে। পুলিশের উপস্থিতিতেই আমরা মাইক লাগাই। দলের কর্মীরা সারাদিন এই সভার জন্য কোনও প্রস্তুতি নিতে পারেননি। সারাদিন তাদের মঞ্চ তৈরির কাজ করতে দেওয়া হয়নি। মঞ্চ তৈরীর জন্য একজন এসেছিলেন। তাকে মারধর করা হয়েছে আর ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত।