"প্রতিশোধ নিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে নোটিশ দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে একই পুরনো খেলা", মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
সিবিআই সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী বাড়িতে নেই, এমনটাই জানানো হয়েছে তাদের। সেক্ষেত্রে আজকের দিনটি সিবিআই অপেক্ষা করবে এবং তারপর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
"এই সবে কারা যুক্ত সবাই জানেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন তদন্ত করেননি? তদন্তে ধামা চাপা দিয়ে সিবিআইকে সুযোগ করে দিয়েছে", মন্তব্য সুজন চক্রবর্তীর।
"কান টানলে মাথা আসে, সঠিক মাথার কাছেই গেছে। এখন দেখার এই সমস্ত মাথাকে টেনে শেষ পর্যন্ত কোন মাথা আসে। বাংলার মানুষের সামনে রোমহর্ষক বিষয় চলে এসেছে", বললেন বাবুল সুপ্রিয়।
"সবাই জানে কয়লা পাচার, বালি পাচার, পাথর পাচার, গরু পাচারে তোলাবাজ ভাইপো ও তার সঙ্গীরা যুক্ত। সিবিআই স্বশাসিত সংস্থা, তাদের কাজ করতে দেওয়া উচিত", বললেন শুভেন্দু অধিকারী।
"আমরা দেখব যেন নিরপেক্ষ তদন্ত হয় আর কোন অপরাধিই যেন নিষ্কৃতি না পায়। বাংলার সবাই জানেন শাসক দলের লোকেরা গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচারের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্যের শাসকদলের নেতা মন্ত্রী, প্রসাশনের আমলা, কর্তাব্যক্তিরা যুক্ত। তাই সিবিআই নোটিশ পাঠাতেই পারে", বললেন অধীর চৌধুরী।
কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সিবিআই-এর নোটিশ। অভিষেকের স্ত্রী ও শ্যালককে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিশ তদন্তকারী সংস্থার।কিছু সন্দেহজনক নগদ লেনদেনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ বলে জানা গেছে। CBI-এর আধিকারিকরাই বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তবে আপাতত অভিষেকের বাড়িতে কেউ নেই বলে জানানো হয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের। এদিকে CBI-এর নোটিশের পর অভিষেকের বাড়ি বেড়েছে পুলিশি প্রহরা।
অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই-এর হানার কড়া সমালোচনায় তৃণমূল। ভয় না পেয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তৃণমূলের কটাক্ষ, "বিজেপির সমস্ত জোট সঙ্গী তাদের ছেড়ে চলে গেছে। এখন একমাত্র অনুগত সঙ্গী হল সিবিআই ও ইডি। মানুষ এর উপযুক্ত জবাব ভোটে দেবেন।"