বিজেপিতে (BJP) যোগদানের পরেই নিরাপত্তা বাড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee)। এবার থেকে জেড ক্যাটাগরির (Z Category) নিরাপত্তা বরাদ্দ হল রাজীবের জন্য। রবিবার (Sunday) হাওড়ার (Howrah) বেশ কয়েক জায়গার সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি। মনে করা হচ্ছে তারপরেই হয়ত রাজীবের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সূত্রের খবর, রবিবার রাতেই অমিত শাহর দফতর থেকে ফোন করে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার কথা জানানো হয় রাজীবকে। বর্তমানে রাজ্যে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, বাবুল সুপ্রিয় এবং শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই ব্যবস্থায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন মোট ২২ জন।
প্রসঙ্গত শনিবারই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহর হাত থেকে নতুন দলের পতাকা গ্রহণ করেছেন তিনি। এরপর রাজ্যে ফিরে রবিবার ডুমুরজলায় প্রথমবার বিজেপির সভায় উপস্থিত হন রাজীব। নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় পুরনো দলের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যে আরও একবার পরিবর্তনের ডাক দেন তিনি। তোলেন "চলুন পাল্টাই" স্লোগান। সভা থেকে নাম না করে তৃণমূলকে রাজীবের আক্রমণ, "যখন কেউ ওই দলে যোগ দেন তখন বলা হয় উন্নয়নের জন্য যোগদান, কিন্তু যখন কেউ ওই দল ছেড়ে অন্য দলে যান তখন বলা হয় গদ্দার। এর বিচার মানুষ করবেন। আপনারা যত অপশব্দ প্রয়োগ করবেন তত আমাদের ওপরে আশীর্বাদ আসবে, জেদ বাড়বে, সাহস বাড়বে।" তিনি আরও বলেন, "২০২১-এ সারা বাংলায় পদ্মফুল ফুটবে, এটা আমাদের শপথ, এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ।"
একইসঙ্গে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গেও ডুমুরজলার সভা থেকে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "কাজ কিছু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি আছে। বাংলার মানুষের অনেক হতাশা। বেকার যুবক যুবতীরা কাজ পাচ্ছেন না। বাইরে চলে যাচ্ছেন। শিল্প শ্মশানে পরিণত হয়েছে। শুধু কেন্দ্রের সঙ্গে শত্রুতা ও ঝগড়া করে গেল। মানুষের স্বার্থে কেন্দ্রের থেকে টাকা আদায় করতে পারলো না। এটা কার ব্যর্থতা? এর জবাব বর্তমান সরকারকে দিতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "অমিত শাহজিকে বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজের কথা বলেছি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এখানে শিল্প হবে। আগামিদিনে কেন্দ্র ও রাজ্যে এক সরকার হোক। আমাদের চাই ডবল ইঞ্জিন সরকার।"