সিএএ (CAA) নিয়ে গতবছর দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) দায়ি করেছেন সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। আর তারই প্রেক্ষিতে সেলিমকে একহাত নিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। সেলিমের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, "যখন লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে এখান থেকে অন্য একটি রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তখন কলকাতায় কারা দাঙ্গা করেছিল? কাদের মদত ছিল সেই দাঙ্গার নেপথ্যে?" অগ্নিমিত্রার কটাক্ষ, "গত ২৬ জানুয়ারি যখন কৃষক আন্দোলনের নামে লালকেল্লায় দেশের অবমাননা করা হচ্ছিল, তখন সিপিআইএম নেতাদের আওয়াজ পাওয়া যায়নি। দিল্লি হিংসার চার্জসিটে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদকের। তাই দাঙ্গা নিয়ে কথা বলতে আসবেন না।" একইসঙ্গে বামেরা সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অগ্নিমিত্রা।
সেলিমের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যে মহিলা মোর্চার সহ সভানেত্রী কেয়া ঘোষও। তিনি বলেন, "বামপন্থীদের চিন্তাভাবনা আগেও নিকৃষ্ট ছিল, মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য থেকে আরও একবার প্রমাণিত হল। দিল্লির মূল দাঙ্গাকারী হিসেবে নাম এসেছে আম আদমি পার্টির সদস্য তাহির হুসেনের, আর সেলিম দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলছেন?" বামপন্থীদের কেয়ার খোঁচা, "যাঁরা এই দেশকে নিজেদের দেশ মানেন না, যাঁরা চিনের প্রেসিডেন্টকে নিজেদের প্রেসিডেন্ট ভাবেন, তাঁরা যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সম্মান দেবেন না, তা আশা করাই যায়। ২০২১-এর পর শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ও জেএনইউতে দেখা যাবে বামপন্থীদের।" একইসঙ্গে মরিচঝাঁপি, বানতলা, ধানতলা, সাঁইবাড়ি, নেতাই ও নন্দীগ্রামকাণ্ডের কথাও উত্থাপন করেন কেয়া।
মঙ্গলবার এক সভায় দিল্লি দাঙ্গা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেলিম বলেন, "একবছর আগে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর-এর বিরুদ্ধে শাহিনবাগ থেকে আরামবাগ পর্যন্ত মানুষ যখন জেগে উঠেছেন সেই সেময় অমিত শাহ গুজরাটের মত দিল্লিতে ছোট আকারে গণহত্যা করলেন না?" আর সেলিমের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই তাঁর সমালোচনায় সরব হয় বিজেপি।