Advertisement

দেওয়াল লিখন ঘিরে অশান্তি বর্ধমানে, পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল-বিজেপি

দেওয়াল লিখনকে ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাতছালা পীরতলা এলাকায়। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, তাদের দেওয়াল লিখন কালি দিয়ে মুছে দেয় বিজেপি (BJP)। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের পালটা অভিযোগ, তৃণমূলই তাদের দেওয়াল লিখনের ওপর জোর করে লিখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

প্রতীকী ছবি
সুজাতা মেহরা
  • পূর্ব বর্ধমান,
  • 14 Dec 2020,
  • अपडेटेड 1:40 PM IST
  • দেওয়াল লিখন ঘিরে উত্তেজনা
  • পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূল-বিজেপির
  • পুলিশের দ্বারস্থ দুপক্ষই


দেওয়াল লিখনকে ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান (Burdwan) পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাতছালা পীরতলা এলাকায়। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, তাদের দেওয়াল লিখন কালি দিয়ে মুছে দেয় বিজেপি (BJP)। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের পালটা অভিযোগ, তৃণমূলই তাদের দেওয়াল লিখনের ওপর জোর করে লিখেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। 

জানা গেছে, বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাতছালা পীরতলা এলাকার ওই দেওয়াল লিখনটি জোর করে কালি দিয়ে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করে কয়েকজন। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তাঁদের দেওয়াল লিখন কালি দিয়ে মুছে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। তাঁদের দেখে পালিয়ে যায় বিজেপির কর্মীরা। বিজেপি ঝামেলা পাকানোর জন্যই এইসব করছে বলেই অভিযোগ প্রসেনজিতবাবুর। যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে বিজেপি। পালটা তৃণমূলই তাঁদের দেওয়াল লিখন মুছে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি শিবিরের। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুনীল গুপ্তার অভিযোগ, তৃণমূলই জোর করে তাঁদের লেখার ওপর কালি লেপে দিয়েছে। এমনকি তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর আক্রমণ এবং বাইক ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বর্ধমান থানার পুলিশ। দুই পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে পুলিশের কাছে।

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে দেওয়াল লিখনকে ঘিরে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামেও তরজায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল - বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের বুক করা দেওয়াল জোর করে দখল করে বিজেপি। যদিও সেক্ষেত্রেও তৃণমূলের সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেয় গেরুয়া শিবির। তাদের পালটা দাবি, যাঁদের দেওয়াল তাঁরাই স্বেচ্ছায় তা বিজেপিকে দিয়েছেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রও তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেক ঘিরে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছে সব পক্ষ। সেক্ষেত্রে নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে ততই এই ধরনে অশান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement