Advertisement

দফায় দফায় TMC-BJP সংঘর্ষ, তপ্ত বর্ধমান, আহত জনা কয়েক

তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান (Bardhaman) শহরের নীলপুর (Nilpur)। দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন। দুপক্ষই দুপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছে।

তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্য়ে সংঘর্ষে তুমুল উত্তেজনা বর্ধমানে। দফায় দফায় গোলমাল হয়েছে বলে অভিযোগ। ছবি: সুজাতা মেহরা
সুজাতা মেহরা
  • বর্ধমান,
  • 27 Dec 2020,
  • अपडेटेड 12:24 AM IST
  • তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ
  • উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহরের নীলপুর
  • দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন

তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান (Bardhaman) শহরের নীলপুর (Nilpur)। দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন। দুপক্ষই দুপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের নীলপুরে তৃণমূলের লাগানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া নিয়ে গোলমালের সূত্রপাত। এদিন দুপুরে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের উদ্যোগে লাগানো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফ্লেক্স ছেঁড়াকে  কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বিজেপি কর্মীরা জিটি রোডে টাঙানো মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ফ্লেক্স  ছিড়ে ফেলছিল। সেই সময় তৃণমূল কর্মী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধুরি মোবাইলে সেই ছবি তুলছিলেন। যেটা দেখে ফেলে বিজেপি কর্মীরা এবং সেই কর্মীকে ধরে মারধর শুরু করে।

তার মোবাইল কেড়ে নেয়। তিনি কোনও ক্রমে এলাকায় পালিয়ে এলে তাকে ধাওয়া করে বিজেপি কর্মীরা। প্রাণে বাঁচতে তিনি যেখানে গিয়েছিলেন মারমুখী বিজেপি কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যায় ও আবারও তাঁকে মারধর করতে থাকে। এই সময় টিএমসি (TMC) কর্মী লক্ষ্মীনারায়ণ  চৌধুরীর স্ত্রী রুনা ওরফে মানতু স্বামীকে বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করে বিজেপি কর্মীরা বলে অভিযোগ। এরপর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা করার অভিযোগ রয়েছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ।কর্মীদের মারধর ও  অফিসে ভাংচুর করা হয় বিজেপি নেতা শ্যমল রায়ের নেতৃত্বে বলে অভিযোগ করেন টিএমসি যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও আহতরা।

অন্যদিকে, বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক  শ্যামল রায় জানান , তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে। শ্যামল রায় দাবি করেন তাদের কর্মীদেরই মারধর করা হয়েছে  কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে। তিনি দাবি করেন, পার্টি অফিস ভাঙচুর ও টিএমসি কর্মীদের মারধরের ঘটনা পুরোপুরি টিএমসি-র নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে হয়েছে। যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও টিএমসি জেলার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান খোকন দাসের পার্টি  অফিস দখল নিয়ে ঝামেলা।

Advertisement

শনিবার রাত থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে বর্ধমান পুরসভার ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নীলপুর এলাকা । বিজেপির অভিযোগ টিএমসি কর্মীদের বিরুদ্ধে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও  কর্মীদের মারধর করার।  পাশাপাশি  টিএমসিরও বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের এবং দলীয় কর্মীদের মারধরের।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement