ফের জনসমক্ষে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজির ১২৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে ‘পরাক্রম দিবস’–এর অনুষ্ঠানে মোদীর সামনেই সৃষ্টি হয়েছিল অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদে বক্তব্যই রাখলেন না। এনিয়ে রাজনৈতিক মহলে এখন চলছে চলচেরা বিশ্লেষণ। ডান-বাম সব তরফেই প্রতিক্রিয়া আসছে। আর এর মাঝেই মুখ খুললেন রামানন্দ সাগরের 'রামায়ণ' সিরিয়ালে রামের ভূমিকায় অরুণ গোভিলকে।
৯০-র দশকে সাধারণ মানুষ রামের চরিত্রে অভিনয় করা অরুণকেই 'রাম' ভেবে রাস্তাঘাটে প্রণাম করতে এগিয়ে গিয়েছেন কতবার। চেয়ে নিয়েছেন আশীর্বাদও। সেই অরুণ গোভিলই জয় শ্রীরাম বিতর্কে নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দিয়েছেন।
নিজের ট্যুইটে অরুণ লেখেন, " কিছু লোক শ্রী রামের নাম বিরক্ত হন কেন? শ্রী রাম প্রতিটি মানুষের জন্য আদর্শ। রামের নাম শুনে রেগে যাওয়া বা বিরোধ করা সারা মানব জাতিকে অপমান করা। এই দেশে এমন কেউ রয়েছেন যিনি রামনাম শোনেননি?"
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালনের জন্য কলকাতাকে বেছে নিয়েছিল কেন্দ্র। এখানেই শনিবার বিকেলে বসেছিল বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আসর। রাজনৈতিক মতানৈক্য ভুলে একসঙ্গে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও তাল কাটে মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত দর্শকদের একাংশ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাতেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে আসেন। নেতাজি সম্পর্কিত কোনও ভাষণই রাখেননি। মমতা বলেন, "সরকারি অনুষ্ঠানের ডিগনিটি থাকা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। আমাকে আমন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু কাউকে আমন্ত্রণ করে, তারপর অপমান করা উচিত নয়। তাই প্রতিবাদ স্বরূপ আমি কিছু বলছি না।" ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এরপরই আর কোনও বক্তব্য না রেখে নিজের আসনে ফিরে যান। আর এত বড় অনুষ্ঠানে এভাবে তাল কেটে যাওয়ায় এখন চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।