প্রথমে ছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দির। এবার দেখা গেল কোচবিহারের রাজবাড়ি। এদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখা গেল একেবারে বাঙালি পোশাকে। পাঞ্জাবি সঙ্গে আবার শাল।
বাঙালি পোশাকে মোদী
এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলায় কথা বলতে দেখা গেল। সেইসঙ্গে বাঙালি পোশাকে। রেওয়াজ ভেঙে এবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা গেল না জাতীয় পতাকা। তার বদলে দেখা গেল কোচবিহারের রাজবাড়ির ছবি। প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের বহিরাগত ইস্যুর পাল্টা ঢালেই কি এমন ব্যবস্থা?
সপ্তাহখানের আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে জায়গা পায় দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের ছবি। এতোদিন সেখানে থাকত জাতীয় পতাকা। এবার প্রোটোকল ভেঙে সেখানে দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের ছবি দেখা গেল। উজবেকিস্তানের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কোনওরকম যোগসূত্র নেই। আচমকা জাতীয় পতাকার বদলে মন্দিরে ছবি কেন রাখা হল প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে টুইট করে রাজ্য বিজেপি। সেখানে তারা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছে। চলতি বছরের দুর্গাপুজোতেও ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বাঙালি মণীষীদেরও স্মরণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন, বিজয় দিবসের পরদিনই মোদী-হাসিনা বৈঠক, শুরু হল হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ
বিধানসভাকে পাখির চোখ
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি শিবির। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা পা রাখছেন রাজ্যে। খতিয়ে দেখছেন দলের সংগঠনের হাল। এমন অবস্থায় পাল্টা বহিরাগত তত্ত্ব সামনে এনেছে তৃণমূল। বিজেপিকে আক্রমণের সময়েই বহিরাগত শব্দটি শোনা যায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। এছাড়াও দলের নেতারা বিজেপিকে আক্রমণের সময়েও একই ইস্যুতে তোপ দাগেন। পাল্টা নিজেকে বাঙালি দল প্রমাণে মরিয়া বিজেপি। তাই প্রশ্ন উঠছে, সেই লক্ষ্যে কি প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে জায়গা পায় দক্ষিণেশ্বর মন্দির থেকে কোচবিহারের রাজবাড়ি? সেইসঙ্গে বাঙালি পোশাকেও দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে।
এই খবরটি ইংরাজিতে পড়ার জন্যে এখানে ক্লিক করুন
যদিও কয়েকদিন আগেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। "তিনি বলেন, টেলিপ্রোমোটার মেশিন নিয়ে নাটক চলছে। আমি গুজরাটি ভাষায় ভাষণ দিতে পারি। আমি আমার ভাষায় গুজরাটি লিখতে পারি।"