রাজ্যে দু'দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন। মঙ্গলবার তৃতীয় দফা। ইতিমধ্যেই তার প্রচারও শেষ হয়ে গিয়েছে। এরপর আগামী ১০ তারিখ হতে চলেছে রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচন। প্রথম ৩ দফার মতো চতুর্থ পর্বেও (Fourth Phase Election) প্রার্থীদের খুঁটিনাটি তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অ্য়াসোসিয়েশান ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআর (ADR) এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশান ওয়াচ। সেই রিপোর্ট অনুয়ায়ী, চতুর্থ দফার নির্বাচনী লড়াইতে রয়েছেন মোট ৩৭৩ জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে ৮১ জন, অর্থাৎ মোট প্রার্থীর ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা। আর ৬৫ জন অর্থাৎ ১৭ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।
যদি প্রথম তিন দফার দিকে একবার নজর রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, প্রথম দফার নির্বাচেন প্রার্থী ছিলেন মোট ১৯১ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন অর্থাৎ ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা এবং ৪২ জন অর্থাৎ ২২ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় মোট প্রার্থী ছিলেন ১৭১ জন। তাঁদের মধ্যে ৪৩ জন অর্থাৎ ২৫ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে ফৌজদারি মামলা এবং ৩৬ জন অর্থাৎ ২১ শতাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। আর তৃতীয় দফায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা ২০৫। তাঁদের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ৫৩ জন অর্থাৎ ২৬ শতাংশের বিরুদ্ধে এবং গুরুতর ফৌজদারি মামলা রয়েছে ৪৩ জন অর্থাৎ ২১ শতাংশের বিরুদ্ধে।
এডিআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী যেগুলিকে গুরুতর ফৌজদারি মামলা বলা হচ্ছে সেগুলি হল-
১. যে আপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ বছর বা তার বেশি
২. যদি কোনও অপরাধ জামিন অযোগ্য হয়
৩. যদি এটি নির্বাচনী সংক্রান্ত অপরাধ হয় (যেমন ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭১ ই বা ঘুষ)
৪. রাজস্বের ক্ষতি সম্পর্কিত অপরাধ
৫. হামলা, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ সম্পর্কিত অপরাধ
৬. জন প্রতিনিধিত্ব আইনে (ধারা ৮) উল্লিখিত অপরাধসমূহ
৭. দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে অপরাধসমূহ
৮. মহিলাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধ
প্রসঙ্গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে রাজ্যের ৫ জেলার মোট ৪৪টি আসনে। তার মধ্যে রয়েছে কোচবিহারের ৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১টি, হাওড়ার ৯টি, হুগলির ১০টি এবং আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসন।