মুখ খুলে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে দুর্গা নিয়ে তাঁর মন্তব্য নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তবে নিজের স্বভাবে পরিবর্তনে নেই বাংলায় বিজেপি রাজ্য সবাপতির। সোমবার সকালে পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানের স্টেশন চত্বরে চায়ে পে চর্চায় অংশ নিয়েছিলেন দিলীপ। সেখানে এবার তৃণমূলনেত্রীর চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা। দিলীপ বলেন, "যত ভোটের সময় এগিয়ে আসছে দিদিমণির চেহারা খারাপ হচ্ছে। ভাষা খারাপ হচ্ছে। কী বলেন নিজেই বোঝেন না।"
এখানেই থামনেনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্যসভা দাবি করেন, "এত দুর্নীতি,হিংসা, মিথ্যাচার, অত্যাচার বাংলার উপর কোনদিন ব্রিটিশরা করেন, সিপিএম চেষ্টা করেও পারেনি । দিদিমণি সব রেকর্ড ভেঙেছেন। এখন উত্তরবঙ্গে গিয়ে লোকের কাছে হাতজোড় করে বলছেন গোহারা হেরেছেন।" এই নিয়েই দিলীপের তীব্র শ্লেষ "গোহারা কেন, এবার তুমি ছাগলহারা হারবে।"
দিলীপ ঘোষ স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেন, "তৃণমূল দলটার সাথেদেশের কোনো সম্পর্ক নেই । এদের স্লোগান জয় বাংলা বাংলাদেশ থেকে আনা, অভিনেতারা প্রচার করতে বাংলাদেশ থেকে আসে। ক্রিকেটাররা বাংলাদেশ থেকে পুজো উদ্বোধন করতে আসে। এমন কী খেলা হবে স্লোগান টাও বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের স্লোগান । রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশ থেকে আসে বোট দিতে।" দিলীপবাবুর কথায়, দিদিমণির বাঙালির উপর ভরসা নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গ করে বলেন, "আপনারা শান্তিতে গ্যালারিতে বসবেন আর আমরা খেলবো কারন ডিফেন্ডার ফরোয়ার্ড সব বিজেপিতে চলে এসেছে আর পচা মাল ওখানে পরে আছে তাই কাকে নিয়ে খেলবেন?"
সোমবার থেকে কলকাতা শহরে মায়ের রান্নাঘর নামে ক্যান্টিন চালু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নিয়েও কটাক্ষের সুর দিলীপরে গলায়। বলেন," ৫ টাকার মা ক্যান্টিন খুলে দিদিমণি প্রমান করেছে বাংলার মানুষের কাছে খাবার পয়সা নেই, রোজগার নেই। ঠিক ৭০ -৭২ সালে মানুষের কাছে যখন পয়সা ছিল না, খেতে পেত না মানুষ, তখন যেমন লঙর চলতো। আজ সরকারি ক্যান্টিনে ৫ টাকার খাবার চালু করে তিনি প্রমান করলেন প্রশাসক হিসাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষকে ভিখারি করে রেখেছেন। তাই ৫ টাকা দিয়ে সরকারি কেন্দ্রে খেতে বলছেন।"
এদিন তৃণমূলকর্মীদের প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, " হাসপাতালে যেতে না চাইলে বাড়ি থেকে বেরিও না। লুটপাট-মারপিটের দিন চলে গেছে। ভোটের পরে কোথায় যাবে, কী করবে এখন থেকে ভেবে রাখ। যদি মনে হয় ঝাড়খন্ড-ওড়িশায় বাড়ি ঘরের দরকার আছে তাহলে বলুন আমরা করে দেব । পাড়ায় থাকতে দেবো না, গ্রামে থাকতে দেবো না । মানুষের লুটের মাল নিয়ে ফুর্তি করবেন ওটা হবে না, প্রায়শ্চিত্য করতে হবে। হয় জেলে জায়গা হবে, না হয় বাংলা থেকে বাইরে যেতে হবে।" এপ্রিল-মে মাসে ভোট হবে এবং এত শান্তিতে ভোট হবে, যা আগে কখনো হয়নি বলেও জানান তিনি।