Advertisement

"বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব," আশ্বাস দিলীপ ঘোষের

"আগামী বছরের গোড়ার দিকে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021), তার আগেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে", জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি (Birati) বণিক মোড়ে এক দলীয় সভায় এই ঘোষণা করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন,"যে মানুষগুলো পৈতৃক ভিটে এবং মা, বোনের সম্মান বাঁচাতে বাংলাদেশ ছেড়েছিল, তাদের এক কাঠা জমি দেওয়া হয়নি, নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। এখনও তারা মনে মনে উদ্বাস্তু। তাই নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আমরা জিতলে নাগরিকত্ব দেবো এবং দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাস করে এই লাখো লাখো মানুষের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করেছেন।"

দিলীপ ঘোষ
দীপক দেবনাথ
  • বিরাটি,
  • 17 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:50 AM IST
  • নির্বাচনের আগেই নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিলীপের
  • "বাংলায় কেন পুরভোট হচ্ছে না?"
  • প্রশ্ন বিজেপির রাজ্য সভাপতির

"আগামী বছরের গোড়ার দিকে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (West Bengal Assembly Election 2021), তার আগেই শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে", জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি (Birati) বণিক মোড়ে এক দলীয় সভায় এই ঘোষণা করেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন,"যে মানুষগুলো পৈতৃক ভিটে এবং মা, বোনের সম্মান বাঁচাতে বাংলাদেশ ছেড়েছিল, তাদের এক কাঠা জমি দেওয়া হয়নি, নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। এখনও তারা মনে মনে উদ্বাস্তু। তাই নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন আমরা জিতলে নাগরিকত্ব দেবো এবং দ্বিতীয়বার সরকারে এসেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) পাস করে এই লাখো লাখো মানুষের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করেছেন।" দিলীপের দাবি, ভোটের আগেই সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। এটা একমাত্র বিজেপি বলেছে এবং বিজেপিই করেছে। আমরা ৩৭০ ধারা হঠাবে বলেছিলাম, যেদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১৮ জন সাংসদ দিল্লিতে গিয়েছেন, সিএএ হয়েছে, রাম মন্দির হয়েছে, তিন তালাক হঠেছে, ৩৭০ হঠেছে।" 

এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তার অভিযোগ, "পশ্চিমবঙ্গে অপরাধী কম হলে, বাংলাদেশ থেকে উগ্রপন্থী নিয়ে আসা হচ্ছে। সিমি, জামাত, আল-কায়েদার জঙ্গিদের। গোটা ভারতে কোথাও বোম বন্দুকের শব্দ নেই, উগ্রপন্থী নেই। জম্মু কাশ্মীর ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। সেখানে কোন পাথর ছোড়া হচ্ছে না। আইন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় বোম ফাটছে, খুন হচ্ছে, উগ্রপন্থী ধরা পড়ছে। বসিরহাট, বাদুড়িয়া কালিয়াচক, রানিগঞ্জ, আসানসোল প্রত্যেকটা জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। কারণ এই সরকার চাইছে না এখানে আইনের শাসন বলবৎ হোক। তাহলে ভোট হবে না, লুটপাট হবে না, জিততেও পারবে না।" 

বিজেপি সাংসদের আরও কটাক্ষ, "দু বছর হয়ে গেল বাংলায় ১১৮ টা পুরসভা ও পুরনিগমের ভোট হয় না। এখানে নাকি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই আমি বলেছিলাম যে বাংলার অবস্থা কাশ্মীরের থেকেও খারাপ। আজকে বাংলার অবস্থা আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকের মতো হয়ে গেছে।" এক্ষেত্রে তার প্রশ্ন "যদি হায়দ্রাবাদে নির্বাচন হতে পারে, রাজস্থানে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, লাদাখে নির্বাচন হতে পারে তবে বাংলায় নয় কেন?"

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement