পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১ এপ্রিল। তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ১০ এপ্রিল, পঞ্চম দফার ভোট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ ২২ এপ্রিল, সপ্তম দফার ভোট ২৬ এপ্রিল ও অষ্টম দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৭ এপ্রিল। ভোটের ফল প্রকাশ ২ মে।
পশ্চিমবঙ্গে ষষ্ঠ দফার ভোট হবে ৪৩টি কেন্দ্রে। ভোটগ্রহণ হবে ২২ এপ্রিল। এই দফায় ভোটগ্রহণ হবে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ।
পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিমমেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম দফায় ভোট হবে ২৭ মার্চ । ৩০টি আসনে দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পার্ট ওয়ান। তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে ভোট। তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল।
পুদুচেরিতে ৩০টি আসনে ভোট হবে। ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল। ২ মে ভোটের রেজাল্ট বেরোবে
এক দফায় ভোট হবে তামিলনাড়ুতে। ভোটগ্রহণ হবে ৬ এপ্রিল। বাংলা সহ সব রাজ্যে ভোট গণনা হবে ২ মে।
এক দফার ভোট হবে কেরলে। ৬ এপ্রিল ভোট হবে কেরলে। স্ক্রুটিনি ২৮ মার্চ হবে। এক দফার ভোট হবে কেরলে। মল্লপুরম কেন্দ্রে ৬ এপ্রিলই উপনির্বাচন হবে।
অসমে তিন দফায় ভোটগ্রহণ হবে। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল, অসমে তৃতীয় দফার ভোট হবে ৬ এপ্রিল। ২ মে হবে ভোটগণনা।
করোনা রুখতে এবারে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কোনও দল রোড শোয়ে ৫টির বেশি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে না। মনোনয়নের সময় প্রার্থীর সঙ্গে ২ জন থাকতে পারবেন। সব প্রার্থীকে সম্পত্তির তালিকা দিতে হবে। কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা, তা জানাতে হবে কমিশনকে। না হলে প্রার্থী হতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের বিঞ্জাপন দিয়ে জানাতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে আইএএস অজয় নায়েক মুখ্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক। অজয় নায়েক বিহার ভোটেরও দায়িত্বে ছিলেন। অনলাইনে মনোনয়ন দিতে পারবেন প্রার্থীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে সর্বোচ্চ ৫ জন। ভোটদানের সময় বাড়ানো হল ১ ঘণ্টা। প্রচারে কোন মাঠ ফাঁকা থাকবে, তার তালিকা তৈরি হবে। সব ভোটকর্মীদের টিকাকরণ হবে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে বিশেষ পুলিশ অবজার্ভারও থাকবে।
কোভিড পরিস্থিতি সত্ত্বেও চ্যালেঞ্জ নিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। অতিমারি পরিস্থিতিতেও রাজ্যসভার ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তারপর বিহারে বিধানসভার ভোট ছিল বড় পরীক্ষা। ৫৯.৬৯% মহিলা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বিহারে। বললেন সুনীল অরোরা।
স্পর্শকাতর সব বুথ চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাকি রাজ্যগুলিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়ে গিয়েছে। আরও বাহিনী মোতায়েন হবে। করোনা রুখতে তত্পর কমিশন। ভিড় এড়াতে প্রতিটি বুথে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার একই সময়ে ভোট দেবেন।
অসমে ১২৬ আসনে ভোট, পুদুচেরিতে ৩০টি আসন, তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনে ভোট হবে। করোনা টিকাকরণ দ্রুত গতিতে চলছে। মানুষের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। ৫ রাজ্য মিলিয়ে মোট ৮২৪টি আসনে ভোট হবে। বাংলায় বুথ সংখ্যা ৩১.৬৫ শতাংশ বেড়েছে। কোনও ভোটার বা ভোটকর্মীর কোভিড ১৯ সন্দেহ হলে, তাঁকে আইসোলেশন করে চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হবে। বললেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
করোনার আবহে বিহার ভোট চ্যালেঞ্জ ছিল। বিহারে সাফল্যের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট পরিচালনা করেছে। সব পোলিং স্টেশন গ্রাউন্ড ফ্লোরে হবে, তা আমরা নিশ্চিত করেছি। কাউকে যাতে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে না হয়। পশ্চিমবঙ্গে এবারে পোলিং স্টেশন ১৯১৬টি। গতবারের চেয়ে ৩১.৬৫ শতাংশ বেড়েছে। বললেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
করোনা আবহে ভোটারদের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখবে কমিশন। মসৃণ ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা করছে কমিশন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।
এ বারে শান্তিপূর্ণ ভোটপ্রক্রিয়া করতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চলেছে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জেলায় তারা রুটমার্চ করছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে উত্সাহ দিচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গে ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক বৈঠক।
দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, অসম-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলন।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, ৬ থেকে ৮ দফায় এবারে ভোট হতে পারে বাংলায়। ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ৬ দফায় ভোট হয়েছিল। ১৯ মে ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু এবারে নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য, পয়লা মার্চের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভাবে মিটিয়ে ফেলার। কারণ ৪ মে থেকে বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৬ দফায় ভোট গ্রহণ হয়েছিল। প্রথমে মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ৪ এপ্রিল ও ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহণ হয়েছিল। তারপরে রাজ্যের বাকি অংশে ১৭,২১,২৫,৩০ ও ৫ মে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। রেজাল্ট বেরিয়েছিল ১৯ মে।
বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘বাংলার মানুষ নির্ভয়ে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে এবং বাইরে যাতে শান্তি বজায় থাকে, সেটা নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করুক। কত দফায় ভোট হবে, তা কমিশন ঠিক করবে। এটা নিয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।’
বাংলায় ৮ দফায় হতে পারে বিধানসভা ভোট। আজ বিকেলে নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্য এবং ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে।
বিকেল সাড়ে ৪টেয় ৪ রাজ্য ও এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ভোটের দিন ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন। ট্যুইট করল নির্বাচন কমিশন।
করোনাকালে নভেম্বর মাসে প্রথম বড় নির্বাচন হয়েছে বিহারে। যে প্রটোকল মেনে বিহারে নির্বাচন হয়েছে, সেই একই প্রটোকল মেনে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরিতে কমিশন ভোট পরিচানা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ, অসম, কেরল ও তামিলনাড়ু ছাড়াও ভোটগ্রহণ হবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরির ৩০টি আসনে। বর্তমানে পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। আস্থা ভোটের আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পুদুচেরিতে ভি নারায়ণস্বামী-র নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ইস্তফা দিয়েছে।
বাংলায় ২৯৪, অসমে ১২৬, কেরলে ১৪০, তামিলনাড়ুতে ২৩৪ এবং কেরলে ৩০টি আসনে ভোট হবে। অসমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের পরে জল্পনা ছিল, ভোট ঘোষণা হবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
আজ বিকেল সাড়ে চারটেয় সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে নির্বাচন কমিশন। আজই পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোট-নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে হবে এই সাংবাদিক বৈঠক।
সূত্রের খবর, ৪ মে থেকে বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। তাই নির্বাচন কমিশন চাইছে, ৫ রাজ্যে পয়লা মে-র আগেই বিধানসভা গঠন হয়ে যাক। মে মাসের আগের আগেই ভোট পর্ব মেটাতে চায় কমিশন। কমিশনের একটি দল ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে।