'দস্যু রত্নাকররা প্লেনে উঠে দিল্লিতে বিজেপি (BJP) অফিসে গিয়েই বাল্মিকী হয়ে গেল, বাল্মিকী সকলে হতে পারে না, মানুষ যাকে দেখবে সাধু, সে আসলে সাধু নয়', দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল (TMC) নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। হাওড়ায় এক রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফিরহাদ বলেন, 'এতদিন ধরে তাঁরা সরকারে থাকলেন। সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেন। অথচ এক বছর দু'বছর আগে কিছু মনে হল না। ঠিক যখন নির্বাচন ঘোষণার সময় এল তখন মনে হল যে তাঁরা নাকি এখানে ইজ্জত পাননি, সম্মান পাননি। আসলে এখানে আন্ডার আন্ডার গট আপ হয়ে গেছে।'
এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ আরও বলেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নীতি একটাই, তা হল ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, টু দ্য পিপল। আগে একটা কথা ছিল গরিবের ভোটে সরকার আসে, তারপর সরকার চলে যায় বড়লোকের পাশে। কিন্তু মমতা এখানে প্রমাণ করেছেন গরিবের ভোটে সরকার আসে, সরকার থেকে যায় গরিবের পাশে।' এই প্রসঙ্গে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, 'সবুজসাথী থেকে শুরু করে বাচ্চাদের জন্য বিনামূল্যে স্কুল, বিনামূল্যে স্কুলের ব্যাগ, পেশাক, জুতো। রূপশ্রী দেওয়া হচ্ছে, কন্যাশ্রী দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা সকলে পাচ্ছেন। এরকম ৬৩টি প্রকল্প করা হয়েছে গরীব মানুষের জন্য।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গরীব মানুষের পাশে থাকে এবং মানুষের জন্য কাজ করে বলেই মন্তব্য করেন ফিরহাদ।
প্রসঙ্গত দীর্ঘ জল্পনার পর অবশেষে শনিবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়. বৈশালী ডালমিয়া, রথীন চক্রবর্তী, প্রবীর ঘোষাল এবং রুদ্রনীল ঘোষ। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে ফিরেও এসেছেন রাজীবরা। আজ রবিবার হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির সভামঞ্চে থাকবেন রাজীব। এখান দেখার বিজেপির সভামঞ্চ থেকে পুরনো দলের বিরুদ্ধে কীভাবে সুর চড়ান রাজীব বন্দ্যোপাধ্যা। অন্যদিকে এই সভায় ভার্চুয়ালি অমিত শাহও।