অশক্ত শরীর তিনি আসতে পারবেন না। দলের কর্মী-সমর্থকেরা প্রবল ভাবে চেয়েছেন তিনি যাতে ব্রিগেডে আসেন। তবে তিনি না আসতে পারলেও শনিবার রাতে কর্মী-সমর্থদের উদ্দেশে বার্তা পাঠিয়েছেন। তিনি রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। আর তাঁর দল সিপিআইএম (CPIM)।
ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে না পারায় নিজের হতাশা লুকোননি রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সেখানে থাকতে পারবেন না। তিনি সমাবেশের সাফল্য কমানা করেছেন।
সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে খবরাখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুনে বুঝতে পারছি বহু মানুষ সমাবেশে আসবেন এবং অনেকে এসে গেছেন। বড় সমাবেশ হবে। এরকম একটা বৃহৎ সমাবেশে যেতে না পারার মানসিক যন্ত্রণা বোঝানো যাবে না।"
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya) আরও বলেন, "মাঠে ময়দানে কমরেডরা লড়াই করছেন আর আমি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মেনে চলেছি। ময়দানে মিটিং চলছে আর আমি গৃহবন্দী যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারিনি। সমাবেশের সাফল্য কামনা করছি।"
দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যাঁর জনপ্রিয়তা এখনও অটুট। আর তাই তো তাঁরা চাইছেন বুদ্ধদেব ব্রিগেডে আসুন। তবে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি অনুমতি দিচ্ছে না।
কর্মী-সমর্থকদের আবেগের কথা মাথায় রেখে তাঁর দল সিপিআইএম (CPIM) ঠিক করেছে, তাঁর বার্তা যাতে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কোন উপায়ে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াই করা যায়, তার হদিশ দেওয়ার। এই বিবৃতি সমাবেশে পাঠ করা হতে পারে।
২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সমাবেশর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অল্প সময়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya)। তবে মঞ্চে উঠে বক্তৃতা করেননি। তখনও তাঁর শরীর খারাপ ছিল। অশক্ত শরীরেই তিনি হাজির হয়েছিলেন।
সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হয়েছিল। আর তাই তাঁকে ভর্তি করাতে হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি বাড়িতেই আছেন।