Advertisement

"সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে ভোট নয়", বার্তা গুরুং-এর, ভিড় ভাবাচ্ছে রোশানদের

"বিজেপি (BJP) একটা দাঙ্গাবাজের দল, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না"। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় এক জনসভায় যোগ দিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার (GJM) নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বিজেপিকে একটি সাম্প্রদায়িক দল বলে উল্লেখ করেন গুরুং। তারপরেই উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, "হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না"। বিমলের সঙ্গেই এদিন সভায় যোগ দেন মোর্চার অপর এক নেতা রোশন গিরিও। 

বিমল গুরুং
Aajtak Bangla
  • বীরপাড়া,
  • 13 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:23 PM IST
  • "বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল"
  • বীরপাড়ায় তোপ বিমল গুরুং-এর
  • সভার ভিড় ভাবাচ্ছে রোশানদের


"বিজেপি (BJP) একটা দাঙ্গাবাজের দল, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না"। আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ায় এক জনসভায় যোগ দিয়ে এমনটাই বার্তা দিলেন গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার (GJM) নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। বিজেপিকে একটি সাম্প্রদায়িক দল বলে উল্লেখ করেন গুরুং। তারপরেই উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে তাঁর আবেদন, "হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না"। বিমলের সঙ্গেই এদিন সভায় যোগ দেন মোর্চার অপর এক নেতা রোশন গিরিও। 

তবে এদিন বিমলের সভা তেমন ভিড় দেখা যায়নি। সভায় যোগ দেননি ডুয়ার্সের নেপালি সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ। দেখা যায়নি মাদারিহাট ব্লকের অনেক মোর্চা নেতাকেও, যা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে গুরুং শিবিরকে। কারণ এদিন সুকনায় সভা করেন বিমলের বিরোধী শিবিরের মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। আর সেই সভায় ভিড়ও ছিল যথেষ্টই। সভায় বিনয় বলেন, "দার্জিলিংকে উত্তরপূর্ব পরিষদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং সেটা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই করতে হবে"। অন্যথায় পাহাড়ের পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলেই মনে করেন বিনয়। 

এদিনের সভায় পরোক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন বিনয় তামাং। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় বলেন আমরা গোর্খাদের সঙ্গে আছি, তাহলে রাজ্য সরকারেরও আমাদের জন্য কিছু পদক্ষেপ করা উচিত"। আর বিনয়ের এই মন্তব্যের পরেই পাহাড়ের রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে নয়া প্রশ্ন। তবে কি রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে বিনয়দের? কারণ একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, বিমল গুরুং প্রকাশ্যে আসার কয়েকদিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিনয়। সেদিন বিমল গুরুং-এর বিষয়ে বিনয়কে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর ছিল, "গুরুং আমার সিলেবাসে নেই"। একইভাবে এদিনও বিমলের প্রসঙ্গে বিনয় বলেছেন, "ওটা আমার বিষয় নয়"। এদিকে আবার কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই জিটিএ এলাকায় সমস্ত অনুষ্ঠান ও প্রচার কর্মসূচিতে নেপালি ভাষা চালু করা হয়েছে। যেটাকে পাহাড়বাসীর মন জয় করতে বিনয়ের কৌশলী পদক্ষেপ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আবার কৃষক সংগঠগুলির ডাকা ভারত বনধের দিন রাজ্য সরকারের তরফে রেশন দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশের পরেও পাহাড়ে খোলা ছিল সেগুলি। বিনয়ের এই পদক্ষেপেও রাজ্যে সরকারের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে আবার এদিন বিমলের সভায় ভিড় কম। তবে কি পাহাড়ে এখন অ্যাডভান্টেড বিনয়? শোনা যাচ্ছে আগামী ২০ তারিখ দার্জিলিং-এ পা রাখতে পারেন গুরুং। এখন দেখার বিমল দার্জিলিং-এ ঢুকলে নয়া কোন মোড় নেয় পাহাড়ি রাজনীতি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement