বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ডুয়ার্সের নেপালি ভোট। তাঁদের সমর্থন টানতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (Gorkha Janmukti Morcha)-র প্রাক্তন সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। পাহাড় (Hill), তরাই (Terai), এবং ডুয়ার্স (Dooars)-এ একযোগে তৃণমুলের সাথে প্রচার করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
তবে ডুয়ার্সে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রার্থী থাকবেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি বিমল গুরুং। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারত-ভুটান সীমান্তের দলসিংপাড়াতে দলীয় কর্মিসভায় যোগদিতে আসেন বিমল গুরুং। সেখানে তাঁর দলের পরিকল্পনার ব্য়াপারে জানান তিনি।
এদিন বিমল বলেন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমুলের সাথে একসাথে প্রচার করা হবে। বিমল গুরুং বলেন, পাহাড়, তরাই, ডুয়ার্সে বিজেপিকে পরাস্ত করতে হবে। এই বিজেপি দলকে সমর্থন করে সমস্যার সমাধান হয়নি। বিজেপির সঙ্গে থেকে কোনও লাভ নেই। বিমল বলেন আমাদের দলীয় প্রার্থী নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলার, কুমারগ্রাম,মাদারিহাট, কালচিনি, তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই নেপালি ভোট ব্যাংক একটা ফ্যাক্টর। এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল। এই তিন কেন্দ্রের নেপালি ভোটারদের দলে টানতে পারলে বেকায়দায় পরবে বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০১৯ লোকসভা ভোটে এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির থেকে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমুল। বিমল গুরুং নেপালি ভোটারদের ফিরিয়ে আনতে পারলে ভোটে আ্যডভান্টেজ হবে তৃণমুলের। তরাই, ডুয়ার্স, পাহাড়ের নেপালি অধ্যুষিত এলাকায় এখন তৃণমুলের একমাত্র ভরসা বিমল গুরুং।
এদিকে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে কি সন্ধি করে নিতে চান দলের এখনকার শীর্ষনেতা বিনয় তামাং? সোমবার তেমনই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিনয়ের করা দাবিতে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, দেশে গোর্খাদের জন্য একটিই সংগঠন গড়ে তোলার দরকার। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তিনি আর ভোটে লড়বেন না।
বিনয় তামাং জানিয়েছেন, ১৯৪৯ সালের ভারত-ভুটান এবং ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল চুক্তি পর্যালোচনা করা দরকার। ওই দুই চুক্তির জন্যই গোর্কাদের এই অবস্থা। তাঁরা অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। ওই দুই চুক্তি পর্যালোচনা করে এবং তার ভিত্তিতে গোর্খাদের সাংবিধানিক অধিকার দিতে হবে। উত্তর-পূর্ব পর্ষদে গোর্খাল্যান্ডের অংশকে ঢোকাতে হবে। তৈরি করতে হবে অল ইন্ডিয়া গোর্খা অযাসেম্বলি বা সারা ভারত গোর্খা সমিতি।