শরীর ফিট রাখা তাঁর কাছে নেশার মতো। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও সুযোগ পেলেই নিয়ম করে হাঁটতে ভালোবাসেন তিনি। ঘরে, অফিসে হাঁটার বাইরেও নানা ধরনের শারীরিক কসরতে তিনি যে সাবলীল, তা কারও অজানা নয়। শাড়ি পরেই মাইলের পর মাইল দ্রুত হেঁটে হাফ ধরিয়ে দিতে পারেন সঙ্গে নিরাপত্তা আধিরাকিরকদের। এহেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবার জনসমক্ষে ফাঁস করলেন নিজের ফিটনেস সিক্রেট। কলকাতায় বসেছে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২১-এর আসর। সেখানেই সাংবাদিক রাহুল কানোয়ালের কাছে নিজের সুস্থ থাকার রাজ জানালেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি যে হাঁটতে পছন্দ করেন, সেই খবর স্বয়ং জানেন প্রধানমন্ত্রীও। মমতা লোকান নি , জানিয়েছেন নিয়মিত ১২ কিলোমিটার ট্রেডমিলে হাঁটেন তিনি। আর তাতেই মধ্য ষাটেও দারুণ ফিট তৃণমূলনেত্রী।
হাঁটার রেসে তিনি পিছনে ফেলবেন হাঁটুর বয়সি অনেককেই। দৈনিক হাঁটতে হাঁটতেই অনেক কাজ তিনি করেন সেই কথাও গোপন করেননি তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি রোজ ১২ কিমি ট্রেডমিলে হাঁটি। ট্রেডমিলেই অনেক কাজ করি। ফোন করি, কাগজ পড়ি। বাজেটও আমি ট্রেডমিলে দৌড়তে দৌড়তেই বানিয়েছি।" মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, হাঁটতে থাকার সময় তার মাথা সচল থাকে, এই সময় নতুন অনেক চিন্তা আসে। মুখ্যমন্ত্রীর ফিটনেস দেখে মুগ্ধ সঞ্চালক রাহুল কানওয়ালও। স্টেজে হাঁটকে হাঁটতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে তিনি যে হাঁপিয়ে যেতেন সেকথাও গোপন করেননি রাহুল।
কেবল ট্রেডিমেল হাঁটা নয়, দৈনন্দিন নানা কাজেও প্রচুরটা সময় হাঁটেন তৃণমূলনেত্রী। বড় বড় ব়্যালীতে দীর্ঘ পথ তাকে হেঁটেই পার হতে দেখা যায়। নিজেকে ‘ফিট’ রাখাটা মমতার কাছে নেশার মতো। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও নিয়ম করে প্রতিদিন অনেকটা সময় শরীরচর্চায় বরাদ্দ রাখেন তিনি। যার বেশিটাই হাঁটা। কেবল নিজে সুস্থ থাকা নয়নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমজনতাকেও শরীর ঠিক রাখতে সব সময়ে পরামর্শ দেন তৃণমূলনেত্রী।