নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল TMC) ভেঙে দলভারি হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। বাঁকুড়ার (Bankura) জঙ্গলমহলের ছবিটাও তার ব্যাতিক্রম নয়। সম্প্রতি জঙ্গলমহলের দুই দাপুটে তৃনমূল নেতা জয়ন্ত মিত্র ও বিদ্যুৎ দাস যোগ গিয়েছেন বিজেপিতে (BJP)। আর এই দুই নেতা গেরুয়া ব্রিগেডে যোগ দিতেই ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বাঁকুড়ার রানীবাঁধ বিধানসভা এলাকায় বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। ক্ষোভ এতটাই বড় আকার নিয়েছে যে প্রকাশ্যেই ওই দুই নেতাকে বহিস্কারের দাবিতে সরব হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। ওই দুই নেতাকে বহিস্কারের দাবিতে সোমবার বাঁকুড়ার রানীবাঁধে প্রকাশ্যে মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। একই সঙ্গে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে চলে তুমুল বিক্ষোভ। ওঠে 'মুকুল রায় মুর্দাবাদ' স্লোগান।
এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় খুন হওয়া বিজেপির বুথ সভাপতি অজিত মুর্মুর স্ত্রী ঊর্মিলা মুর্মু। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, সদ্য দলে যোগ দেওয়া বিদ্যুৎ দাসের নেতৃত্বেই ২০১৮ সালে তৃনমূলের লোকজন পিটিয়ে খুন করে অজিত মুর্মুকে। সেই ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে এলাকার বিজেপি কর্মীদের মনে। এর মাঝেই মুকুল রায়ের হাত ধরে বিদ্যুৎ দাস বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ জয়ন্ত মিত্রও জঙ্গলমহলের একাধিক দুর্নীতি ও গুন্ডাগিরির নায়ক। বিজেপিতে এই দুই জনের যোগদান কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। এমনকি প্রয়োজনে দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন রানীবাঁধ এলাকার বিজেপির নিচুতলার কর্মীরা।
এদিকে যাঁকে কেন্দ্র করে এত ঘটনা সেই বিদ্যুৎ দাস এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। পাশাপাশি এই বিক্ষোভকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ জয়ন্ত মিত্র। অন্যদিকে এই ঘটনায় আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের কটাক্ষ, 'বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন আর ঘরে সীমাবন্দ নেই, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।'