রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোট গ্রহণ শেষ। এবার ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণের ঠিক আগের মুহূর্তে আচমকাই ৪ গুরুত্বপূর্ণ আইপিএস অফিসারকে বদল করলো নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হলো পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূমের পুলিশ সুপারকে। বদল করা হল আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারকেও। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলার এক এসডিপিও কেও। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই আইপিএস বদলের কথা রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিবকে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল বীরভূমের পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদকে সরিয়ে সেই পদে নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজন আইপিএস অফিসার নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে নিয়ে আসা। ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস নগেন্দ্র নাথ ত্রিপাঠীকে এই মুহুর্তে রাজ্যের সব থেকে হাইভোল্টেজ বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বরাবরই নির্বাচন কমিশনের আস্থাভাজন এই অফিসার সেই দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কমিশনের বাহবা কুড়িয়েছিলেন। এমনকি নন্দীগ্রামের একটি বুথে সামান্য বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়ে, নিজের উর্দির কলার তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখের ওপরে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই উর্দিতে তিনি কোন দাগ নেবেন না। তাঁর এই সাহসী পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছিল গোটা দেশ জুড়ে। এবার সেই সাহসী অফিসারকেই বীরভূমের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জেলার পুলিশ সুপার পদে বসানো হল। উল্লেখ্য অষ্টম দফায় ভোট রয়েছে বীরভূমের ১১টি আসনে। তৃণমূেলর জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বলা হয় বীরভূমকে।
তাই ষষ্ঠ দফা ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে আইপিএস বদল নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ ষষ্ঠ দফাতে ভোট রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের। ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন লেখেন, 'রাজ্যে প্রায় ৪৫ দিন ধরে আদর্শ (মোদী) আচরণ বিধি রয়েছে। কিন্তু ঠিক ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে কেন ৪ আধিকারিক বদল করা হল।'
তবে তৃণমূলের সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আইপিএস এনএন ত্রিপাঠীকে নিয়ে। নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা ত্রিপাঠী এবার বীরভূমের দায়িত্ব নিচ্ছেন। এই ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে কমিশন কোনওরকম আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি বলেই ট্যুইটে অভিযোগ করেন ডেরেক।