হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের (TMC) বিড়ম্বনা যেন মিটেও মিটছে না। এবার জেলার শীর্ষ নেতা অরূপ রায় ও দলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল হাওড়ার শিবপুরে। পোস্টার লাগানো হয়েছে বিধায়ক জটু লাহিড়ীর সমর্থনে 'আমরা কাকুর অনুগামী'দের তরফে। পোস্টারে লেখা, 'আমরা অরূপ রায় ও প্রশান্ত কিশোরকে মানছি না, মানব না।' পোস্টারে নাম দেখা যায় অনুপ শীল ও মহেন্দ্র শর্মার।
বৃহস্পতিবার সকালে এই পোস্টার নজরে আসার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলা তৃণমূলের অন্দরে। এই বিষয়ে অরূপ রায়ের (Arup Roy) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'পোস্টারে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন যে জটু লাহিড়ী (Jatu Lahiri) ও তাঁদের ছোট করার জন্য এই কাজ করা হয়েছে। এটা তৃণমূলের কারও কাজ নয়, এটা বিজেপির (BJP) কাজ। রাতের অন্ধকারে এই কাজ করা হয়েছে।'
এরপরেই যোগাযোগ করা হয় মহেন্দ্র শর্মার সঙ্গে। মহেন্দ্রবাবুর দাবি, এটা তাঁদের লেখাও নয়, পোস্টারও নয়। রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে। এরসঙ্গে তাঁদের বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই। এই ধরনের মন্তব্য করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাঁর নাম ব্যবহার করে কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা করা হয়েছে। এটাকে চক্রান্ত বলেই মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও জানান মহেন্দ্রবাবু।
তবে জটু লাহিড়ীকে নিয়ে বিগত কয়েক দিন ধরে সরগরম হাওড়া জেলা তৃণমূলের অন্দরমহল। নির্বাচন ঘোষণা না হলেও, কয়েকদিন আগে এক সাংবাদিক সম্মেলন শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী মন্তব্য করেন, "আমি নিশ্চিতভাবে জানি বিধায়ক হিসেবে আমি আবার আসব।" আর তারপরের দিনই তাঁর নামে দেখা যায় দেওয়াল লিখন। সেখানে লেখা ছিল, 'আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রার্থী জটু লাহিড়ীকে ঘাসের উপর জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিন।' এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। ঘটনায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বিষয়ে জেলার শীর্ষ নেতা অরূপ রায় জানিয়েছিলেন "বিষয়টি দল দেখবে।" আর তারপর এদিনের ঘটনা। এখন দেখার নির্বাচনের আগে আর কী কী ঘটনা ঘটে হাওড়ায়।