এবারে প্রথম থেকেই দলের প্রার্থী তালিকায় সমাজের সমস্ত ক্ষেত্রের মানুষকে সামিল করার বিষয়ে জোর দিয়েছিল বিজেপি (BJP)। বাস্তবে দেখায় গিয়েছে তেমনটাই। আউশগ্রাম (Ausgram) আসনে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করা কলিতা মাঝিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছে সেই সময়েও একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজই করছিলেন তিনি। দল তাঁকে প্রার্থী করেছে জানার পর আপাতত কাজে থেকে ছুটি নিয়েছেন কলিতা। এরপর সোজা চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে বরণ করে নেন দলের কর্মী সমর্থকেরা।
বীরভূম জেলা লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান জেলার এই আউশগ্রাম আসনটি ২০১৬ সালে দখল করে তৃণমূল কংগ্রেসের। ওই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হন অভেদানন্দ থান্ডার। এবারেও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সেই অভেদানন্দ থান্ডারের বিপরীতেই দরিদ্র পরিবারের মহিলা কলিতা মাঝিকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই আসনটিতে এবারে জয়ের বিষয়ে যথেষ্টই আশাবাদী গোরুয়া শিবির। স্বামীর একার উপার্জনে সংসার চলে না কলিতার। বাধ্য হয়ে তাই তিনটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে হয় তাঁকে।
তবে আউশগ্রামে দলের প্রার্থীকে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা বরণ করে স্বাগত জানালেনও সর্বত্র কিন্তু ছবিটা এইরকম নয়। বিগত দফাগুলির মতো বৃহস্পতিবারও দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই দিকে দিকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। চলে দলীয় দফতের ভাঙচুর, তালা ঝোলানো। হরিশ্চন্দ্রপুর, ওল্ড মালদা, পান্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, জগদ্দল, দমদম, রাজারহাট -গোপালপুরের মতো আসনের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শুরু হয় বিক্ষোভ। যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁদের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদেরই টিকিট দেওয়া হয়েছে। সকলের উচিৎ সহযোগিতা করা।