Advertisement

West Bengal Election 2021: নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও আরও দুই সদস্যের পদত্যাগ করা উচিত। তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন। তাঁরা এখানে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। নির্বাচন জিততে ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।" 

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রেমা রাজারাম
  • কলকাতা,
  • 19 Mar 2021,
  • अपडेटेड 8:01 AM IST
  • "বিজেপির মতো নোংরা দল দেখিনি"
  • "নির্বাচন কমিশন অন্ধ হয়ে গিয়েছে"
  • আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুরেই এবার নির্বাচন কমিশনকে (ECI) আক্রমণ করলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। নেত্রীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে সরাসরি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করে বসলেন তিনি। কল্যাণ বলেন, "মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও আরও দুই সদস্যের পদত্যাগ করা উচিত। তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন। তাঁরা এখানে বিজেপির শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। নির্বাচন জিততে ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।" 

তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, "এটা একেবারে ব্যতিক্রমী নির্বাচন। বিজেপি নোংরা খেলা খেলছে। আমি ১৬টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কিন্তু বিজেপির মতো নোংরা দল এবং অমিত শাহের মতো নক্কারজনক নেতা কখনও দেখিনি। নির্বাচন কমিশন অন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিজেপির সহযোগী দল হয়ে উঠেছে।" তবে নির্বাচনে তাঁর দল ২০০-র বেশি আসন জিতবে বলেই দাবি করেন কল্যাণ। 

প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনরে দ্বারস্থও হয় তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। যদিও পরিবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।  

যদিও তাতে অবশ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করা থামাননি তৃণমূল নেত্রী। সম্প্রতি পুরুলিয়ায় এক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেতাদের হয়রান করার ষড়যন্ত্র করছেন এবং নির্বাচন কমিশন তাঁর নির্দেশে কাজ করছে দেখে তিনি অবাক। মমতার দাবি অমিত শাহ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, নন্দীগ্রামের ঘটনার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের মধ্যে দিয়ে বিবেক সহায়কে অপসারণ করে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি।

Advertisement

তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে পালটা চিঠি দেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ৪ পাতার ওই চিঠিতে বলা হয়, "নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন। কমিশনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। কমিশনকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন এমন মন্তব্য করেছেন তিনিই জানেন।" চিঠিতে আরও বলা হয়েছ, "নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি জানতেন না বিবেক সহায়। তাঁর গাড়ির চালকও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিবেক সহায়। নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার ব্যর্থ।" এক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট দিয়েছেন তার প্রেক্ষিতেই কমিশন পদক্ষেপ করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।  

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement