কলকাতায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় বাম ছাত্র-যুব কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। তালতলা থানায় জনা ২৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার ডিওয়াইএফআই রাজ্য দফতরের কাছে পুলিশকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জামিনযোগ্য এবং জামিনআযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, বাম ছাত্র-যুবদের হাতে পুলিশ মার খেয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। সোমবার কলকাতার দুটি জায়গায়, মৌলালি এবং কলকাতা পুলিশ মর্গের কাছে। এই দুই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে নিহত যুব নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মরদেহ ডিওয়াইএইআই রাজ্য দফতর দীনেশ মজুমদার ভবনে আনার কথা ছিল। তাঁর মরদেহ ছিল পুলিশ মর্গে। সেখান থেকে ডিওয়াইএইআই রাজ্য দফতরে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা।
তখন সেখানে আসেন কয়েকজন পুলিশ। সে সময় তাঁদের সঙ্গে কোনও বিষয়ে কথা কাটাকাটা হয় বলে অভিযোগ। এরপর বাম ছাত্র-যুব কর্মী-সমর্থকেরা ওই পুলিশেরও পর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের তাড়া করা হয়। এক পুলিশকর্মীকে ধরে ফেলা হয়। এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, আর একজন পুলিশকর্মী ঢুকে পড়েন এক রেঁস্তরায়। সেখানে ভিড় জমে যায়। পরে তাঁকে নিরাপদে বের করে আনা হয়। আরও কয়েকজন পুলিশকর্মীকে তাড়া করা হয়। মৌলালি পর্যন্ত তাদের পিছু নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, পুলিশ উল্টোপাল্টা কথা বলেছি। তাতে ক্ষুব্ধ হন সংগঠনের সদস্য-সমর্থকেরা। আর তাই এই ঘটনা। তাঁর দাবি, সংগঠনের সদস্যরাই পুলিশকে বাঁচিয়েছে। না হলেও আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত।
এদিকে, পুলিশ মর্গের সামনে উত্তেজনা দেখা দেয়। লাঠিধারী পুলিশ কর্মীদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল বামেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছ।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ কলকাতা পুলিশ মর্গের সামনে এই ঘটনায় রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত বাম কর্মী সমর্থকদের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হন লাঠিধারী পুলিশ কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাদের এক যুব নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বামেদের। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এদিন ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃতদেহ। এরপর থেকেই পুলিশ মর্গের বাইরে জমায়েত করতে থাকেন বাম কর্মী সমর্থকরা।
ভিড় বারতেই সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মর্গের বাইরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের কয়েক জনের হাতে ছিল লাঠি। যে লাঠির আঘাতে তাদেরই সহকর্মীর মৃত্যু হল, ফের সেই লাঠি নিয়েই কেন আজও তারা ঘটনাস্থলে এলেন? এই প্রশ্নেই রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বাম কর্মী সমর্থকরা।