Advertisement

Mir Jafar| মির জাফর 'বিশ্বাসঘাতক'? সিরাজের পতনে কিন্তু কাঁদেনি মুর্শিদাবাদ!

ওই চক্রান্তের পান্ডা ছিলেন উইলিয়াম ওয়াটস ও রর্বাট ক্লাইভ। মির জাফরের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির চুক্তি হয় ১৭৫৭ সালের ৫ জুন। তার আগে ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে নবাবের আলিনগর চুক্তি হয়েছিল। আলিনগরের চুক্তি ভঙ্গের মিথ্যা অজুহাতে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়।  

পলাশির যুদ্ধ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Apr 2021,
  • अपडेटेड 4:39 PM IST
  • পুরোটাই ছিল স্বার্থের সংঘাত
  • সিরাজউদৌল্লা শাসক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন
  • মানুষ আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছিলেন

দলত্যাগের রাজনীতির (West Bengal Election 2021) বাংলায় বারবার উঠে আসছে 'মির জাফর' (Mir Jafar) কথাটি। অর্থাত্‍, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দেওয়া। একটি নির্দিষ্ট ইতিহাসে বারবার শান দিলে তা বদ্ধমূল ধারণায় পরিণত হয়ে যায়। তখন বিকল্প ইতিহাস ধীরে ধীরে ম্লান হয়। এটাই ইতিহাসের রসিকতা।

আরও পড়ুন: সিঙ্গুরের জেলায় BJP-র উত্থান! 'বিবদমান' হুগলি মাথাব্যথা মমতার

আরও পড়ুন: শিয়রে BJP! ১৬'র ফর্মুলাতেই উত্তরবঙ্গে হারানো জমি পেতে মরিয়া মমতা? 

মির জাফর ও তাঁর ছেলে মিরন

মির জাফর (Mir Jafar) বিশ্বাসঘাতক ছিলেন, বাংলাকে ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন-- সবই ইতিহাস। আবার বিখ্যাত ইতিহাসবিদ রমেশচন্দ্র মজুমদারের লেখা An Advance History of India বইতে লিখছেন, 'It would be quite wrong to regard Siraj as fighting for the country and Mirjafar and others as betraying it. Both sides acted from pure self interest and do not appear to have given a thought to country as a whole...'।

পলাশির যুদ্ধ ও ক্লাইভ

অর্থাত্‍, পুরোটাই ছিল স্বার্থের সংঘাত। যার ফসল তুলেছিল ইংরেজরা। রমেশচন্দ্র মজুমদারের লেখা থেকে যদি 'It would be quite wrong to regard Siraj as fighting for the country and Mirjafar and others as betraying it' লাইনটিকে নেওয়া যায়, তা হলে মির জাফরকে একেবারে বিশ্বাসঘাতকের 'চূড়ামণি' আখ্যা দিতে গেলে একটু ধাক্কা লাগেই। একই সঙ্গে ওই অন্যান্যদের উল্লেখও রয়েছে। তাঁরা কারা? জগত্‍ শেঠ, উমিচাঁদ, ঘসেটি বেগম, রাজা কৃষ্ণচন্দ্ররা? 

মুর্শিদাবাদে মির জাফরের প্রাসাদ 'নেমক হারাম দেউড়ি'

পলাশির যুদ্ধ ও মির জাফর

Advertisement

মির জাফরের বংশোধর রেজা আলি খানের গবেষণা বলছে, সিরাজউদৌল্লা শাসক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন। অত্যাচারিও। 'পলাশীর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সিরাজউদৌল্লা পালিয়ে রাজমহলের দিকে চলে যাওয়ার পরে মুর্শিদাবাদ শহরে যখন পরবর্তী নবাব হিসেবে মির জাফরের নাম ঘোষণা করা হল, তখন তাঁর বিরুদ্ধে রাজধানীতে কোনও বিক্ষোভ তো হয়ইনি, বরং মানুষ আনন্দের সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সমসাময়িককালে সিরাজের জন্য মুর্শিদাবাদের মানুষ চোখের জল ফেলেনি। এর একটা কারণ অবশ্যই হঠকারী তরুণ নবাবের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি। জীবদ্দশাতেই সিরাজের অত্যাচার ও নারীশিকারের কাহিনি কিংবদন্তীর আকার নিতে শুরু করেছিল। সিরাজের পতনে তাই রাজধানীর মানুষ সহজেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল।'

পলাশির যুদ্ধ

ইতিহাসবিদ সুশীল চৌধুরীর মতে, ওই চক্রান্তের পান্ডা ছিলেন উইলিয়াম ওয়াটস ও রর্বাট ক্লাইভ। মির জাফরের সঙ্গে ব্রিটিশ কোম্পানির চুক্তি হয় ১৭৫৭ সালের ৫ জুন। তার আগে ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কোম্পানির সঙ্গে নবাবের আলিনগর চুক্তি হয়েছিল। আলিনগরের চুক্তি ভঙ্গের মিথ্যা অজুহাতে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়।  

ক্লাইভের সঙ্গে মির জাফর ও তাঁর ছেলে মিরনের চুক্তি

অধ্যাপক শেখর বন্দ্যোপাধ্যায় 'পলাশি থেকে পার্টিশন' বইতে লিখছেন, 'ইংরেজদের হাতের পুতুল হয়ে মির জাফর নতুন নবাব হিসেবে বাংলার মসনদে বসেন।'  সিরাজউদ্দৌলার পতন নিশ্চিত হয়েছিল। কারণ তত্‍কালীন ধনকুবের ও ব্যাঙ্কার জগত্‍ শেঠ তাঁর বিপক্ষে ছিলেন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement