Advertisement

দীর্ঘ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায়, নারী দিবসে বর্তমান ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস

১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ১৯৭৫ সালে জয়প্রকাশ নায়ারণের বিরুদ্ধে এক আন্দোলনে বিশেষ ভাবে সাংবাদমাধ্যমের নজর কাড়েন তিনি। শুরু হয় রাজনৈতিক উত্থান। ১৯৭৬ থেকে ৮০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান মমতা। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দাপুটে নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ হন তিনি। তবে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে এলেও পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্যের কারণে নয়ের দশকের শেষের দিকে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Mar 2021,
  • अपडेटेड 12:57 PM IST
  • দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে ছোটবেলা
  • তৃণমূল স্তর থেকে ক্ষমতার মসনদে
  • নারী দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামী ইতিহাস

দীর্ঘ কয়েক দশকের রাজনৈতিক জীবন। একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে লড়াই শুরু করে ক্ষমতার মসনদে। মাঝের সময়টায় দাপুটে নেত্রীর ভূমিকার তাঁকে বারেবারেই দেখেছেন বাংলা তথা সারা দেশের মানুষ। তাঁর লাগাতার সংগ্রামই নড়িয়ে দিয়েছিল দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের ভিত। আর বর্তমানে গোটা দেশে তিনিই একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আর কেউ নন, তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই ঘুরে ফিরে আসে তাঁর কথা। 

দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করতে করতে বড় হওয়া। খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারান মমতা। ছোট ভাই বোন এবং মাকে সাহায্যের ভার ছিল তাঁরই ওপরে। সংসার চালাতে একটা সময় তাঁকে দুধ বিক্রির কাজও করতে হয়েছে বলে শোনা যায়। পরিবারকে সহযোগিতার পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নিজের পড়াশোনাও। দক্ষিণ কলকাতার যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ এবং শ্রী শিক্ষায়তন কলেজেও পড়াশোনা করেন মমতা। 

১৯৭০-এর দশকে কংগ্রেসের (Congress) হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৫ সালে জয়প্রকাশ নায়ারণের বিরুদ্ধে এক আন্দোলনে বিশেষ ভাবে সাংবাদমাধ্যমের নজর কাড়েন তিনি। শুরু হয় রাজনৈতিক উত্থান। ১৯৭৬ থেকে ৮০ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলান মমতা। ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে দাপুটে নেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেশের কনিষ্ঠতম সাংসদ হন তিনি। তবে কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনীতিতে এলেও পরবর্তী সময়ে মতপার্থক্যের কারণে নয়ের দশকের শেষের দিকে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বেশ কয়েকবার সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বও সামলেছেন মমতা। তবে তার জন্য বাংলায় সিপিআইএম তথা বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই এক মুহূর্তের জন্য বন্ধ করেননি। সে ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের আন্দোলনই হোক বা সিঙ্গুর - নন্দীগ্রাম। বারেবারেই বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তিনি। আর এই লাগাতার সংগ্রামই ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসে পশ্চিমবঙ্গের শাসকের ভূমিকায়। ইতিমধ্যেই ১০ বছর সরকার চালিয়েছে তৃণমূল। এই সময়ের মধ্যে তাঁর সরকারে কাজ যেমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই তাঁর দলের একাধিক নেতামন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছে সারদা - নারদার মতো দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার অভিযোগও। এমনকি মমতার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ইস্যুতে তোপ দেগেছেন বিরোধিরা। কিন্তু এতকিছুর পরেও একজন মহিলা রাজনীতিক হিসেবে রাজ্য তথা জাতীয় রাজনীতিতে মমতার গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারেন না তাঁর অতি বড় সমালোচকও। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement