রাজ্যে জোরকদমে চলছে নির্বাচনী লড়াই। শুক্রবারই ২৯১ টি আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে তিনি নিজে লড়ছেন নন্দীগ্রাম (Nandigram) থেকে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে বিজেপির (BJP) হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লড়াইতে নামতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতার আসার নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনের।
এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী আগামী ১০ তারিখ নন্দীগ্রাম থেকে মনোনয়ন দাখিল করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ১১ তারিখ সভা রয়েছে তাঁর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন যে ফ্রন্ট ফুটে খেলছেন, তা তাঁর এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই কারণই নিজের ভবানীপুর আসন ছেড়ে এবার নন্দীগ্রামকে বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর ছেড়ে যাওয়া ভবানীপুরে এবার তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এদিকে একটা সময় নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী এখন তাঁর বিপক্ষে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছ, মমতার বিরুদ্ধে কি নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে ময়দানে নাবাবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, বিজেপির কোর কমিটির বৈঠকেও নন্দীগ্রাম নিয়ে হয়েছে জোর আলোচনা। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাম জমানায় সিঙ্গুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে বড় আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৭ সালে এই নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা মাটি মানুষের আন্দোলন। কিন্তু যে নন্দীগ্রামে মমতা ও শুভেন্দু একসঙ্গে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সেখানেই আজ তাঁরা একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ।
২০১৬ সালে এই নন্দীগ্রাম থেকেই জিতেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোট পেয়েছিলেন ৬৬.৭৯ শতাংশ। অপরদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই-এর আবদুল কবি পেয়েছিলেন ২৬.৪৯ শতাংশ। জয়ের ব্যবধান ছিল ৪০.৩ শতাংশ। ৮১,২৩০ ভোটে জিতেছিলেন শুভেন্দু। অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছিল ৫.৩২ শতাংশ ভোট। যদি এখন সমীকরণ বদলেছে। শুভেন্দু এখন বিজেপিতে। সেক্ষেত্রে নতুন দলে গিয়েও নিজের জয় ধরে রাখতে পারেন কি না শুভেন্দু অধিকারী, সেটাই এখন দেখার।