আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব রাজনৈতিক দলের জন্যই। নির্বাচনী নির্ঘন্ট প্রকাশিত হতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে নরেন্দ্র মোদী জোর কদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই। তবে এবারের বঙ্গ দখলের লড়াই কিন্তু ত্রিমুখী। শাসক দল তৃণমূল এবং বিরোধী বিজেপি ছাড়াও বাম-কংগ্রেস-আব্বাস সিদ্দিকি জোটও কিন্তু এবার লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই।
সিএনএক্স-এর জনমত সমীক্ষায় বাংলার আগামী বিধানসভা নির্বাচন কোন দল কটি আসন পাবে তা নিয়ে কৌতুহল ছিলই। দ্বিতীয় দফার এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে- রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪টি আসন। আসন্ন বিধানসভা ভোটে ১০২ থেকে ১১২টি আসন পেতে পারে বিজেপি। বাম, কংগ্রেস জোট পেতে পারে ২২ থেকে ৩০টি আসন। অন্যান্যরা পেতে পারে ১ তেকে ৩টি আসন।
রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৯৪। অর্থাৎ সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৮, যাকে ম্যাজিক ফিগারও বলা হয়ে থাকে। সিএনএক্স-এর দ্বিতীয় দফার জনমত সমীক্ষা বলছে একুশের নির্বাচনে সেই ম্যাজিক ফিগার অনায়াসে টপকে যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল পাবে ৪২%, বিজেপি ৩৪%, বাম-কংগ্রেস ২০% এবং অন্যান্যরা ৪%।
ফেব্রুয়ারি মাসে ABP News-C voters এর জনমত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বঙ্গে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল একাই পাবে ১৪৮ থেকে ১৬৪ আসন। সোমবারে সিএনএক্স-এর সমীক্ষায় সেই সংখ্যা প্রায় একই। তবে এর আগ সিএনএক্স-এর প্রথম দফার জনমত সমীক্ষার থেকে দ্বিতীয় দফায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বাড়ল ৮। অন্যদিকে, বিজেপির কমেছে ৯-১১টি আসন কমেছে, বামেদের ২টি আসন বেড়েছে।
যদি ২০১৬ সালের বিধানসভা এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায়, সেক্ষেত্রে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ২১১টি আসন, বিজেপি-৩ এবং বাম-কংগ্রেস ৭৭টি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেয়েছিল ১৬৮টি আসন, বিজেপি-১২১ এবং বাম-কংরেস-৯। সিএনএক্স-এর দ্বিতীয় দফার জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪-১৬৮টি আসন, বিজেপি পেতে পারে ১০২ থেকে ১১২টি আসন এবং বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে এবার ২২ থেকে ৩০টি আসন আসতে পারে।