Advertisement

মোদীর পরেই হুগলিতে একই জায়গায় সভা মমতার, শুরু BJP-TMC বাকযুদ্ধ

আগামী ২২ তারিখ হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জে সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ২৪ তারিখ সেখানেই সভা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই দল। পাশাপাশি এই নিয়ে বাকযুদ্ধও শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী (বামদিক থেকে)
ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু
  • হুগলি,
  • 17 Feb 2021,
  • अपडेटेड 4:58 PM IST
  • মোদীর পরেই সাহাগঞ্জে সভা মমতার
  • 'একই জায়গায় সভা কেন', প্রশ্ন বিজেপির
  • 'এটা পালটা সভা নয়', দাবি তৃণমূলের

হুগলির (Hooghly) সাহাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সভাস্থলেই সভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আগামী ২২ তারিখ হুগলির সাহাগঞ্জে সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৪ তারিখ সেখানেই সভা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইতিমধ্যেই জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই দল। পাশাপাশি এই নিয়ে বাকযুদ্ধও শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে। 

এই প্রসঙ্গে বিজেপির নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, "হঠাৎ করে তাদের পথই কেন অনুসরণ করছে তৃণমূল?" তিনি বলেন, "এখানে নরেন্দ্র মোদীর সভার কথা অনেক আগেই ঘোষণা করা ছিল। তৃণমূল সেখানেই সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হুগলিতে জমি হারাচ্ছে তৃণমূল। তারা ভয় পেয়েছে। আমরা এখানে সভার প্রস্তুতি নিয়েছি, হেলিপ্যাড তৈরি করেছি। আমাদের কর্মীরা সভার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। আর সেটাকেই ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল।"

যদিও এটাকে প্রধানমন্ত্রীর পালটা সভা হিসেবে মানতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই প্রসঙ্গে হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, "যারা বাংলায় সাম্প্রদায়িক বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন আমাদের নেতৃত্ব।  জনগণের কাছে যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সেই জন্যই আগামী ২৪ তারিখ আমরা এখানে জমায়েত করব।" 

প্রসঙ্গত গত ২০১৪ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে ডানলপ কারখানা। সেই বছরেই বন্ধ হয় হুগলির আরও একটি নামজাদা কারখানা হিন্দুস্থান মোটরস। সেক্ষেত্রে এই সভা থেকে মোদী শিল্প নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে পারেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে হলদিয়ার সভায় কৃষকদের সমস্যা নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছিলেন মোদী। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই সভা থেকে কীভাবে সুর চড়ান প্রধানমমন্ত্রী। আর কীভাবেই বা তার মোকাবিলা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement