চলতি মাসের শেষে ফের রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তার আগে সোমবার ঠাকুরনগরে গোটা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন বিজেপির (BJP) এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) ও দলের সহ সভাপতি মুকুল রায় (Mukul Roy)। এদিন ঠাকুর বাড়িতেও যান বিজেপি নেতারা। তবে কাদের ব্যানারে হবে অমিত শাহের সভা, এদিন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি মুকুল। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মতুয়া না বিজেপি, কাদের ব্যানারে হবে অমিত শাহের সভা? উত্তর মুকুল বলেন, 'তা আলোচনা সাপেক্ষে ঠিক করা হবে'। তবে এই বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন মুকুল।
প্রসঙ্গত এনআরসি -সিএএ এখনও কেন লাগু হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বনগাঁর বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায় বিজেপির অন্দরে। এমনকি, আইন লাগু না হলে তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, শোনা যায় এমন কানাঘুসোও। এই পরিস্থিতিতে শান্তনুর ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামে বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ বিজেপি নেতৃত্বের আশঙ্কা শান্তনু তৃণমূলে যোগ দিয়ে হাতছাড়া হয়ে যাবে মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক। সেক্ষেত্রে এবার ঠাকুর নগরে অমিত শাহের সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অন্যদিকে সম্প্রতি রাজ্যের এক প্রথম সারির তৃণমূল নেতা দাবি করেন বিজেপি থেকে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন মুকুলকে প্রশ্ন করা হলে, 'তিনি বলেন ভয় পেয়ে ও দল ধরে রাখতে এই সব কথা বলা হচ্ছে'। প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল। তারপরেই বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, তাদের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন আরও কয়েকজন তৃণমূল সাংসদ। এমনকি দু - তিন আগে সাংসদ শতাব্দী রায়কে নিয়েও রীতিমতো জল্পনা ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। আর এই দাবি পালটা দাবির মাঝে আবারও রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। এবার দেখার তাঁর সফর চলাকালিন আরও কোনও চমক আসে কি না বঙ্গ রাজনীতিতে।