Advertisement

বিজেপি কর্মীর মৃত্যু রহস্য! মেডিকেল রিপোর্টে ছররা গুলি, অস্বীকার পুলিশের

বিজেপির অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের উপর পুলিশের আক্রমণে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে।

বিজেপির দাবি পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি পাখি মারার মতো ছররা গুলিও ছোঁড়া হয়েছে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 07 Dec 2020,
  • अपडेटेड 9:10 PM IST
  • উত্তরকন্যা অভিযানের সময় পুলিশের গুলিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে
  • অভিযানে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি নেতৃত্ব
  • বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবি, পুলিশ ও তার গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছেযদিও এ কথা অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

সোমবার যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযানের সময় পুলিশের গুলিতে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপির দাবি পুলিশের পক্ষ থেকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি পাখি মারার মতো ছররা গুলিও ছোঁড়া হয়েছে, যার জেরে মৃত্যু হয় উলেন রায় নামের এক ব্যক্তির। মেডিকেল রিপোর্টেও এমনটাই বলা হয়। যদিও এ কথা অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।

রাজ্য পুলিশের তরফে টুইটে জানান হয়, "শিলিগুড়িতে আজ একটি রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা তাঁদের প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় মারাত্মক সহিংস হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা অগ্নিসংযোগ, ইট-পাথর ছোঁড়া, গুলি চালানো ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর চালায়। পুলিশ সংযম দেখায়, কোনও লাঠিচার্জ বা অস্ত্রও ব্যবহার করেনি। উত্তপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কেবল জল কামান এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহৃত হত। তবে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠান হয়। মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের পরে।" 

তবে বিজেপির অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়-র দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের উপর পুলিশের আক্রমণে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয়েছে। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ফের বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে।

প্রসঙ্গত, বিজেপির এই অভিযানের সময় দলের কর্মীর আহত হওয়ার ঘটনার খবর পেয়েই সোমবার বিকেলে ফুলবাড়ির হাসপাতালে পৌঁছন দিলীপ ঘোষ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''উলেন রায়কে হাসপাতালে আনার পর মৃত্যু হয়। কিন্তু গায়ে বন্দুকের গুলির ছিটে ছিল। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে সঠিক কারণটা। তবে হাসপাতালে ১৫ জনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরে গুলির ছররার চিহ্ন। পাখি মারার বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ ও তার গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে। পুলিশ অস্বীকার করেছে কিন্তু এমন ঘটনা কেন ঘটেছে পুলিশকে জবাব দিতে হবে। ''।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement