Advertisement

শহিদ দিবস পালনে গভীর রাতে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু, পড়ল বোমা

নন্দীগ্রাম (Nandigram) শহিদ দিবস পালন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ওই দিনটি পালন করা হয়। বুধবার গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বিজেপি-র অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর বোমাবাজি করা হয়।

নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালনে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
তাপস ঘোষ
  • নন্দীগ্রাম,
  • 07 Jan 2021,
  • अपडेटेड 9:27 AM IST
  • নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস পালন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে
  • বুধবার গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
  • বিজেপি-র অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর বোমাবাজি করা হয়

নন্দীগ্রাম শহিদ দিবস (Nandigram Martyrs Day) পালন ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি ওই দিনটি পালন করা হয়। বুধবার গভীর রাতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী, নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। বিজেপি-র অভিযোগ, তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর বোমাবাজি করা হয়।

গভীর রাতের সভায় শুভেন্দু জানান, প্রতি বছর আসি। এবারও এসেছি। সকালে নেতাই বেরিয়ে যাব। তাই এখন এসেছি। দলমত পেরিয়ে এই দিন পালন করি। আগামীদিনেও তাই করব। এক রাতেও যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের হয়ে এখানে এসেছি। প্রচার করা হয়েছে, এখানে আসতে পারব না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ভয় পায় না। সকাল বেলায় আমি সেলিমের দেহ তুলেছি। অনেকে অনেক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছি। শুভেন্দু ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি (বিইউপিসি)-এর নামে স্লোগান তোলেন।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে কখনও আসেনি। আমি প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ। তবে আমার সবথেকে বড় পরিচয় আমি নন্দীগ্রামের আপনজন।

২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের শহীদ হয়েছিলেন শেখ সেলিম, ভরত মন্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি। সাড়ে চারটায় ভাঙ্গা ব্রিজের কাছে শহীদ দিবস পালন করে আসছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তৃণমূলের নেতা কিংবা বিধায়ক হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন প্রত্যেক বছরই।

শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান বদল হওয়ার পরে গভীর রাতে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি। করলেন নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। শহীদদের উদ্দেশ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সি । উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা শেখ সুফিয়ান, শহীদ জননী পাঁশকুড়া পশ্চিমের বিধায়িকা ফিরোজা বিবি সহ নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতৃত্বরা।

Advertisement

ভোররাত থেকে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকার প্রচুর মানুষ ভিড় জমায় এই শহীদ স্মরণ সভায়। প্রত্যেকে শহীদ বেদীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই শহীদদের। প্রশ্ন উঠছে যে শুভেন্দু অধিকারী শহীদদের পাশে থেকে ভোরবেলা এসে শহীদ স্মরণ সভা পালন করতেন, তিনি আজ কেন গভীর রাতে এসে শহীদের স্মরণ করে চলে গেলেন। তাহলে কি নন্দীগ্রামের মানুষদের কাছে নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে পড়ছে শুভেন্দু অধিকারী?

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement