এতদিন বাম (Left Front), কংগ্রেস (Congress) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিন দলকে 'জগাই', 'মাধাই' ও 'গদাই' বলে কটাক্ষ করতেন তিনি। এবার পালটা তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে 'ম্যাচ ফিক্সিং'-এর অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবিবার হলদিয়ায় (Haldia) উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, "বাংলায় প্রধান লড়াই তৃণমূলের সঙ্গে। তবে এদের লুকনো বন্ধুদের থেকে সাবাধান। দিল্লিতে তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস বন্ধ ঘরে বৈঠক করে। পর্দার পিছনে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে। কেরলেও বাম ও কংগ্রেস ডিল করেছে। ৫ বছর তোমরা লুঠ করো, ৫ বছর আমার লুঠ করবো। তাই এদের ভোট দেওয়া মানে পর্দার পিছনের খেলার শিকার হয়ে যাওয়া। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।"
এদিন রাজ্যের পূর্বতন কংগ্রেস ও বাম এবং বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত সরকারের কড়া সমালোচনা করেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কংগ্রেসের সময় ছিল দুর্নীত। বামের এসে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করে অত্যাচার এবং বাংলার উন্নয়নে ব্রেক মেরে দেয়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলার মানুষ মমতার ওপরে আশা রেখেছিলেন। কিন্তু মমতার আশা রেখে নির্মমতা পেয়েছেন মানুষ।" মোদীর আরও অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রথম বছরেই মানুষ বুঝতে পারেন, এটা পরিবর্তন নয়, বামেদের পুনর্জীবন, তাও আবার সুদ সমেদ। এটা অপরাধ ও অপরাধীদের পুনর্জীবন, হামলার পুনর্জীবন।" প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, "এত বছরে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে, দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে এবং পুলিশ প্রশাসনে রাজনীতিকরণ ঘটেছে।"
'প্রধানমমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি' এবং 'আয়ুস্মান ভারত' বাংলায় চালু না হওয়াকে ঘিরেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন মোদী। তিনি বলেন, "করোনার সময় সারা দেশের কৃষকরা অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছেন, পেলেন না বাংলার কৃষকরা। কারণ এখনকার সরকার প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তই হতে চায়নি। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প থেকে একানকার গরীব মানুষ বঞ্চিত, কারণ রাজ্য সরকার এর বিরোধিতা করেছে।"
মোদীর অভিযোগ, "তৃণমূল একের পর এক ফাউল করেছে। তাই বাংলার মানুষ এবার তৃণমূলকে লাল কার্ড দেখাতে চলেছেন। পিসি - ভাইপোকে হঠানোর সিদ্ধান্ত বাংলার মানুষ নিয়ে নিয়েছেন। আর তৃণমূলের যাঁরা পিসি - ভাইপোর ওপরে বিরক্ত হয়ে বাংলার মানুষের সেবা করতে চাইছেন, তাঁরাও তৃণমূলকে রাম রাম বলে জয় শ্রীরাম বলতে আসছেন।"