মালদা (Malda) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহার ওপর গুলি চালানর ঘটনায় দলেই অপর এক নেতা নিতাই মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় আগে যাদের গ্রেফাতার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছে নিতাই মণ্ডলের নাম। বিজেপির এই নেতাকে গ্রেফতারের পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
গত ১৮ এপ্রিল প্রচারের পর রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে থাকার সময় গুলিবিদ্ধ হন মালদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী গোপালচন্দ্র সাহা। গলায় গুলি লাগে ওই প্রার্থীর। সঙ্গটজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয় তাঁর।
এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলাজুড়ে। ঘটনার তদন্ত নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে নিতাই মণ্ডলের নাম। এরপর শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা নিতাই মন্ডলকে।
প্রসঙ্গত প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই মালদা বিধানসভা এলাকায় বিজেপির অভ্যন্তর শুরু হয় কোন্দল। যা একসময় প্রকাশ্যে চলে আসে। গোপালচন্দ্র সাহাকে প্রার্থী হিসেবে মানতে পারেনি দলেরই একাংশ। এমনকি একসময় পদত্যাগের জন্য চিঠিও দেন নিতাই মণ্ডল। পাশাপাশি শোনা যায় নির্দল হিসেবেও দাঁড়াতে পারেবন তিনি। যদিও শেষ প্রযন্ত তাঁকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন জেলার বিজেপি নেতারা।
এরপর গোপালচন্দ্র সাহা গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রথমে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে দেন তৃণমূলের মালদা জেলার সভানেত্রী, মৌসম নূর। উল্টে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে দাবি করেন তিনি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হলেন নিতাই মণ্ডল।
এদিকে এই ঘটনায় জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডলের বক্তব্য,"আইন আইনের পথেই চলবে, যতদিন পর্যন্ত না অভিযুক্ত নিতাই মন্ডল নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে পারবেন, ততদিন দলীয় সমস্ত পথ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে জেলা কার্যালয়ে একটি জরুরী বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে"। একইসঙ্গে গোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানান তিনি।