Advertisement

এবার বেসুরো মমতার আরেক মন্ত্রী, কী বললেন রাজীব?

এবার বেসুরো রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister)  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। শনিবার তিনি কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, শুনুন আমি এখানে আমি কিছু মন্তব্য করেছি। আমি শুধু একটা কথাই বলেছি যে স্তাবকদের বা মানুষ যাদের পছন্দ করেন না, তারা যেন সামনের সারিতে না থাকি। এটাই ছিল আমার বক্তব্য আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। তিনি বলেন, আগে আগে দেখিয়ে হোতা হ্যায় ক্য়ায়া! 

রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে। ছবি সৌজন্য: তাঁর ফেসবুক
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Dec 2020,
  • अपडेटेड 7:14 PM IST
  • এবার বেসুরো রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়
  • মানুষ যাদের পছন্দ করেন না, তাঁরা যেন সামনের সারিতে না থাকেন
  • আগে আগে দেখিয়ে হোতা হ্যায় ক্য়ায়া

এবার বেসুরো রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister)  রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। শনিবার তিনি কিছু মন্তব্য করেন। যা নিয়ে জলঘোলা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, শুনুন আমি এখানে আমি কিছু মন্তব্য করেছি। আমি শুধু একটা কথাই বলেছি যে স্তাবকদের বা মানুষ যাদের পছন্দ করেন না, তারা যেন সামনের সারিতে না থাকি। এটাই ছিল আমার বক্তব্য আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। তিনি বলেন, আগে আগে দেখিয়ে হোতা হ্যায় ক্য়ায়া! 

গত কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে দল। এর মধ্যে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াল তাঁর এই মন্তব্য। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), শীলভদ্র দত্ত (Shilbhadra Dutta)-সহ আরও কয়েকজনের মন্তব্যে সমস্যায় দল। শুভেন্দু তো মন্ত্রিত্বও ছেড়ে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, "তাঁরা যেন সামনের সারিতে না থাকেন, এটাই ছিল আমার বক্তব্য। আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। এটা আমি সার্বিকভাবে বলেছি। এটা আপনারা যেভাবে ব্যাখ্যা করার করুন। আমি ব্যাখ্যার মধ্যে নেই। আমার অনুভূতি আমার মনের কথা যেটুকু বলার, আমি জনগণের সামনে বলেছি। সুতরাং এটার কোনও ব্যাখ্যা নেই।"

শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে চলে গেলে তৃণমূলের ক্ষতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "নিঃসন্দেহে ক্ষতি হবে। আমার তো মনে হয় যে দলের যে কোনও কর্মী, যদি একজনও যদি চলে যান, আমার মনে হয় দলের ক্ষতি।" 

সম্প্রতি আগে অতীন ঘোষ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তখন রাজীববাবু বলেন, "দেখুন হয়তো তাঁর মনের কথা বলেছেন। তাঁর মনের কথা হয়তো ব্যাখ্যা করেছেন। আমার মনে হয় দলের অনেকেরই হয়তো এমন ব্যথা, যন্ত্রণা রয়েছে। তাঁরাও হয়তো বলতে পারছেন না।"

তিনি বলেন, "আমি এখনও মনে করি আমি যদি ব্যক্তিগতভাবে কাজ করি তাহলে ১০০ জন মানুষের উপকার করতে পারব। তবে কেউ স্বচ্ছ্বতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের কাজ, তাহলে একটা রাজনৈতিক মঞ্চের দরকার রয়েছে। মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবো যদি আমাকে আমার মধ্যে স্বচ্ছ্বতা থাকে। সুতরাং আগামী দিনে যদি মানুষের জন্য কাজ করতে হয় তাহলে রাজনৈতিক মঞ্চে থেকে মানুষের জন্য কাজ করবে। রাজনীতিতে মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাইলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই করতে হবে।"

Advertisement

রাজীববাবু সাংবাদিকদের বলেন, "আজ রাজনীতি থেকে যুব সমাজ বিমুখ কেন? যুবসমাজ কেন রাজনীতি থেকে পিছিয়ে রয়েছে? বাংলায় দেখতে পারছি, রাজনীতি থেকে বিমুখ যুবসমাজ। কেন বিমুখ? নিশ্চিত ভাবে কিছু রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাজকর্ম হয়তো যুবসমাজ হতাশ করেছে। তাঁদের অনেক রকম স্বপ্ন ছিল। সেগুলো সফল করার ইচ্ছে ছিল। তাঁদের বাসনা ছিল। তা পূর্ণ হয়নি। সুতরাং কেন রাজনীতি থেকে তারা দূরে সরে যাবে, তা দেখতে হবে।কয়েকজন  খারাপ মানুষের জন্য তাঁরা দূরে সরে যাবে, তা হয় না। কয়েকজনের জন্য তো রাজনীতিকে খারাপ বলতে পারি না। যুবসমাজকে আবার রাজনীতির দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁদের মনের মধ্যে যে যোগ ক্ষোভ রয়েছে, তা প্রশমণ করতে হবে।"

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement