স্বতস্ফূর্ত ব্রিগেড আর অর্থের প্রাবল্যের ব্রিগেডের মধ্যে যে কেবল সুক্ষ নয়, তফাত অনেকটাই রয়েছে এমনটাই বুঝিয়ে দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। এদিনের বিজেপির ব্রিগেড কেবল অর্থের 'শো-অফ', ক্ষমতার অপপ্রয়োগ তা বাক্যবাণে বুঝিয়ে দিলেন বিরোধী নেতা।
নরেন্দ্র মোদীর রবিবারের ব্রিগেড প্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্য, "আমাদের ব্রিগেড ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। রোদ মাথায় নিয়েই সকলে এসেছিল। আর বিজেপির এই ব্রিগেডে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্যান্ডেল বানানো হয়েছে। আর আমাদের ন্যূনতম খরচ করে অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেদিনের উত্তেজনা দেখেছিলেন সকলের মধ্যে।
এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বাম কংগ্রেস জোট নিয়েও মোদীর বাক্যকে কটাক্ষ করেন অধীর। তিনি বলেন, বাম-কংগ্রেসকে আগে কেউ সেভাবে জোর দিয়ে দেখেননি। এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে আমরাই রাজ্যের তৃতীয় ক্ষমতাসম্পন্ন জোট। এবারের লড়াই তিনপক্ষের৷ নয়ত মোদীজি কেন বলবেন বিগ্রেড থেকে আমাদের কথা। তৃতীয় শক্তি যে আমরাই হয়ে উঠছি এই মন্তব্য তার প্রমাণ।
তবে শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূল নিয়েও সরব হন অধীর চৌধুরী৷ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, রাজ্যে গরুপাচার ও অবৈধ কয়লা পাচার হয়। কিন্তু প্রমাণ না থাকার জন্য কিছু বলতে পারব না। অপরাধেও পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে। দিল্লিতে কোনও তথ্য পাঠায়নি।
পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও আইন শৃংখলার অবনতি হয়েছে এ কটাক্ষও শোনা যায় নেতার মুখে। অধীর বলেন, মোদী স্বপন দেখাতে ভালবাসেন। ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন অথছ কেউ ১৫ পয়সাও পায়নি। জ্বালানির দাম বাড়িয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি করেছেন, দেশে বেকারত্বও বেড়েছে।
অধীর কথায়, মোদী ও দিদি একই টাকার এপিঠ-ও পিঠ। দুজনের ডিএনএ একই। আসল জোট ওদের নিজেদের মধ্যেই। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পাচ্ছেন কিন্তু উনিই তো বাংলায় বিজেপিকে নিয়ে এসেছেন।