সোমবার কৃষকদের আন্দোলন ৩৩তম দিনে পা রাখল। আর এই আবহেই শততম কিষাণ রেলের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার সাথে আবার যুক্ত হল বাংলার নামও। শততম কিষাণ রেলটি মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের শালিমারে আসছে। শাক-সবজির মতো পচনশীল কৃষিজ ফসল পরিবহণে বিশেষ ট্রেন চালাতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল। দেশে অগস্টে শুরু হয়েছিল প্রথম কিসান রেল। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে , তারপর থেকে একের পর এক ট্রেন চালু হয়েছে। সোমবার সুবজ পতাকা দেখিয়ে শততম কিষাণ রেলের সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, কিষাণ রেল দেশজুড়ে কৃষি পণ্য পরিবহণে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। পচনশীল শাক-সবজি দ্রুত পাঠানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, লঙ্কা, পেঁয়াজ এবং আঙুর, কমলালেবু, কলা, আতা ও বেদানার মতো ফল বহন করছে কিষাণ রেল। সোমবার সুবজ পতাকা দেখিয়ে দেশের শততম কিসান রেলের সূচনা করলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্রেই অভিনন্দন জানালেন কৃষকদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'দেশের কৃষকদের অভিনন্দন জানাতে চাই। কোভিড চ্যালেঞ্জের মাঝেই কিসান রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছে। এবার শততম কিসান রেল চালু হল।' শততত কিষাণ রেলের গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের শালিমার। এর ফলে বাংলাার কৃষকদের আয় বাড়বে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে বার্তালাপের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে কিষাণ সম্মান নিধি চালু না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী তোপ দেগেছিলেন মমতা সরকারের দিকে। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের একবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বাংলাকে খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। তোপ দেগে বললেন, শুধু কলকাতায় এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই প্রকল্প চালু করেনি। আর সোমবার কিষাণ সম্মান নিধি চালু না হওয়া সেই বঙ্গেই কিষাণ ট্রেন পাঠাল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী দামামা বেজে গিয়েছে গোটা বাংলা। আর তাই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই বাংলার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
এদিকে কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের পক্ষে অনড় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদীর সাফ বার্তা কিষাণ রেলের হাত ধরে নিজেদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। নিজেদের দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে সুবিধা পাবেন দেশের বহু কৃষক। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামো তৈরি করে তবেই কৃষি আইনে সংস্কার করেছে কেন্দ্র সরকার।” দেশের কৃষকরাও এই পরিবর্তনের লাভ পেতে শুরু করেছে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। এদিকে, কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের পঞ্চম বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। এরপর ষষ্ঠ বৈঠকের জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর দিনটি ধার্য করেছে কেন্দ্র। ওই দিন দুপুর ২ টো'র সময় দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আন্দোলনরত ৪০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সরকারের সঙ্গে ফের একবার আলোচনায় বসবে৷