দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় এবার তিন পর্বে ভোট। দ্বিতীয় দফা থেকেই এই জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটপর্ব। এদিকে ভোটের উত্তাপ যত বাড়ছে ততই ভাঙড়ে বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা। এলাকার নানা প্রান্ত থেকে খবর আসছে আগ্নেয়াস্ত্র ও তাদা বোমা উদ্ধারের। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শুক্রবারও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙড় থানার পদ্মপুকুর এলাকা থেকে উদ্ধার হল প্রচুর বোমা।
জানা যাচ্ছে , গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভাঙড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পদ্মপুকুরের একটি মাঠে হানা দেয়। সেখানে ফাকা মাঠের মাঝখানে বোমা মজুদ করা ছিল বলে দাবি পুলিশের। ভোটের আগে এলাকায় বোমা বাঁধার কাজ চলছে। এই খবরই এসেছিল পুলিশের কাছে। আর সেই বোমা বেঁধে পদ্মপুকুরের ওই মাঠে মজুত করা হচ্ছিল। খবর পেয়েই সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দিয়ে ৪১ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে।
এই বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে রাজনৈতিক পারদ ফের চড়ছে ভাঙড়ে। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আইএসএফ কর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার তৃণমূল নেতা বাহারুল ইসলামের দাবি ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি পাকানোর জন্য বোমা তৈরি করে তা মজুত করা হচ্ছিল। এ কাজ আইএসএফ কর্মীরাই করছিল বলে দাবি ওই তৃণমূল নেতার। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন আইএসএফ নেতা মিন্টু শিকারি।