'ভারতের গণতন্ত্রে মূল লড়াই হবে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। বাংলার মানুষ তাঁদের বার্তা ও দৃড়তা নিয়ে সঠিক কার্ড দেখানোর জন্য প্রস্তুত। ২ মে আমার শেষ ট্যুইটটি দেখবেন।' নির্বাচন ঘোষণার পরের দিন, ট্যুইটে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের (TMC) ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। শুক্রবারই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই দিনই এমন আত্মবিশ্বাসী ট্যুইট পিকের।
লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের পরেই রাজ্যে দলের ভোট কৌশলী হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিকে ও তাঁর সংস্থা আই প্যাক দায়িত্ব নিয়েই তৃণমূলের বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করা শুরু করে। দলের নেতা মন্ত্রী কর্মী সমর্থকদের আরও বেশি করে নির্দেশ দেওয়া হয় জনসংযোগের ওপরে। নিয়ে আসা হয় 'দিদিকে বলো'র মতো বেশ কিছু নতুন কর্মসূচি। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে যার সুফলও পেতে শুরু করে তৃণমূল।
যদিও পিকের রণকৌশল যে দলের সর্বস্তরে সমান ভাগে গৃহিত হয়েছে এমনটাও নয়। তৃণমূলের বহু নেতা নেত্রী প্রকাশ্যেই পিকের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। যার অন্যতম মিহির গোস্বামী বা শিলভদ্র দত্ত। পরবর্তী সময় দেখা গিয়েছে উভয়েই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এছাড়া নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও পিকের সংস্থাকে নিয়ে কখনও কখন ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। যদিও তারপরেও পিকের ওপরে আস্থা হারাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে তৃণমূলকে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমকায় আনতে একের পর এক রণকৌশল নির্ধারণ করে গিয়েছেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিভিন্ন সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও পিকের স্ট্র্যাটেজি কাজে আসবে না বলে বারেবারেই দাবি করেছে বর্তমানে রাজ্য তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। পালটা ২০০-র বেশি আসন নিয়ে তারাই সরকার গড়বে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
পিকে আগে যা বলেছিলেন-
যার প্রেক্ষিতে একসময় পালটা পিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বিজেপি দুই সংখ্যায় পৌঁছালে ট্যুইটার ছেড়ে দেবেন। আর তারপর এদিন এই ট্যুইট পিকের। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, এতটা কীভাবে আত্মবিশ্বাসী পিকে?