বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমর্থনের কথা জানিয়ে গেলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সোমবার নবান্নে তাঁদের বৈঠক হয়। পরে তিনি জানান, পূর্ণ শক্তি দিয়ে মমতাকে সমর্থন করবে তাঁর দল।
এদিন তেজস্বী যাদব জানান, শুরু থেকে আমাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। লালু জির সঙ্গে বরাবর ভাল সম্পর্ক। বাংলায় হিন্দি ভাষাভাষির অনেকে আছেন। বিহার, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ডের অনেকে এখানে আছে। এটা ভোটের সময়। অনেকের প্রশ্ন আমাদের অবস্থান কী?
তিনি জানান, লালু জির নির্দেশ, পুরো সমর্থন করতে হবে মমতা দিদিকে। আমাদের যা শক্তি রয়েছে বাংলায়, আমাদের যেখানে শক্তি রয়েছে সাহায্য করব। সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে চাইছে। বিজেপি আটকাতে হবে। ওদের স্বপ্নপূরণ হতে দেব না। মূল্যবোধ বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্র বাঁচাতে হবে। ভাষা, সভ্যতা বাঁচাতে হবে।
কলকাতায় এসে মমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। করোনার সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে পরিস্থি সামলেছিলেন, সে কথা জানান। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সংবিধান বিপদে। দেশকে ভেঙে ফেলার শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। মমতা করোনার সময় যেভাবে কাজ করেছেন, তার যতই প্রশংসা করা হোক কম হবে।
তিনি বিহারের বিজেপি সরকারকেও বিঁধেছেন। তাঁর অভিযোগ, বিহারের যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, ডবল ইঞ্জিনের সরকার লুঠছে। বিহারের যে মন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁরা সেখানে কাজ না করে এখানে পড়ে রয়েছেন।
বাংলায় আরজেডির সংগঠন খুব একটা মজবুত নয়। এর আগে রাজ্যে আরজেডির বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভায় কাউন্সিলর ছিল। কিন্তু ২০১১ সালে পরিবর্তনের হওয়ায় সেই সব চিহ্ন এখন আর নেই। তবে হিন্দিভাষী এলাকায় এখনও কিছু জায়গায় আরজেডির পকেট ভোট রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
রাজ্যে বামফ্রন্টের সঙ্গে তারা দীর্ঘদিন ছিল। বামফ্রন্টের হয়েই ভোট লড়ত। তাদের বিধায়ক, কাউন্সিলর- সব বামফ্রন্ট মনোনীত আরজেডি প্রার্থী হিসেবেই জিতেছিলেন। তবে তারা বামফ্রন্ট থেকে সরে এসেছে। জানা গিয়েছে, রবিবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্য়ান বিমান বসুর কাচে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছেন।