সভা থেকে দলের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তৃণমলূ নেতা। বুধবার উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটিতে। নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে পদ ছাড়লেন।
প্রকাশ্য জনসভায় থেকে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সনৎ দে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই পদত্যাগ বলে জানান যদিও তৃণমূল দলের কর্মী হিসেবে কাজ করে যাবেন বলেও তিনি জানান।
জানা গিয়েছে, তাঁর ওপর একাধিকবার বোমা গুলি চালিয়ে হামলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি ঘটনায়ও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এবিষয়ে তিনি ও তার পরিবার পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে দলীয় উচ্চ নেতৃত্ব কে জানান। কিন্তু অপরাধীদের গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বুধবার রাতে নৈহাটি গোপাল স্মৃতি সংঘ মাঠে নৈহাটি বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত এক জনসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে সনৎ বলেন, "অফিসকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি হচ্ছে কেন, তদন্ত হবে না। পুলিশ কী করছে? কেন আসামী গ্রেপ্তার হবে না? আসামি প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আজকের দিনে এখানে দাঁড়িয়ে যেতে চাই যে দুনিয়ায় আমি রিটার্ন টিকিট আমি কেটে নিয়ে এসেছি যেতে তো হবে। যাব সেইদিন। সভাপতি হিসাবে এটাই আমার শেষ মঞ্চ। আমি তৃণমূল যুব কংগ্রেসের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। সভাপতি হয়ে আর রাজনীতি করব না। একজন কর্মী হয়ে থাকব।"
তবে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কারণে ইস্তফা নাকি শারীরিক অসুস্থতার জন্য দলের নৈহাটি শহর যুব তৃণমূল সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা।
তবে ঘটনা যাই হোক প্রকাশ্য জনসভায় সনৎ দে-র এই বক্তব্যে যথেষ্টই অশ্বস্তিতে পড়েছে নৈহাটি তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তৃণমূল নেতা মদন মিত্র সাফাই দিয়ে জানান "মঞ্চ থেকে সনতের পদত্যাগের নাটকীয় ঘোষণা ইমানদারী। শুভেন্দু অধিকারীর মত বেইমান না। ওটা দলকে ভালোবেসে। ও অনেকদিন ধরেই বলছে। ও দলের সঙ্গেই আছে। ও একবারও বলেনি যে, আমি দল ছেড়ে চলে যাব বা আমি বিজেপিতে চলে যাব। ও কেবলমাত্র বলেছে যে আমি যুব সভাপতির পদ ছেড়ে দিচ্ছি। যাই হোক এই বিষয়টা নিয়ে আমরা দলের মধ্যে আলোচনা করব।"