Advertisement

West Bengal Election 2021 : ষোলোয় তারকা-পাড়া টালিগঞ্জে! একুশে তারার বিরুদ্ধে লড়াই মধুজার

শেষ হাসি হেসেছিলেন মন্ত্রীই। তবে ওই ছাত্রীনেত্রীর লড়াই অনেকের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। দলের তো বটেই।

ঝাড়গ্রামের সিপিআইএম প্রার্থী মধুজা সেনরায়
অভিজিৎ বসাক
  • ঝাড়গ্রাম,
  • 20 Mar 2021,
  • अपडेटेड 3:01 PM IST
  • ২০১৬ সালে লড়েছিলেন তারকাদের পাড়ায়
  • এবার তারকার বিরুদ্ধে
  • তবে নিজের গড়ে

২০১৬ সালে লড়েছিলেন তারকাদের পাড়ায়। এবার তারকার বিরুদ্ধে। তবে নিজের গড়ে। এ যেন 'ঘর ওয়াপসি' গত বারের বিধানসভা ভোটে রাজ্যের মন্ত্রী, টালিগঞ্জের বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসকে কড়া চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন।

শেষ হাসি হেসেছিলেন মন্ত্রীই। তবে ওই ছাত্রীনেত্রীর লড়াই অনেকের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছিল। দলের তো বটেই। তিনি এবারও ভোট লড়ছেন নিজের এলাকা ঝাড়গ্রাম থেকে। তিনি সংযুক্ত মোর্চার সিপিআইএম প্রার্থী মধুজা সেনরায়। ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে যাঁর রাজনীতির শুরু।

তাঁর প্রতিদ্বন্দী, তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা হাঁসদা তাঁর সহপাঠী। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছেন। ঝাড়গ্রামে আর বি এম স্কুলে পরে তাঁর বন্ধু, ভবিষ্যতের সুপারস্টার সারদাপীঠে চলে যান।

সে অর্থে ক্লাসমেটের সঙ্গে লড়াই। তিনি অবশ্য অভিনয় করা ছেড়ে দিয়েছেন। টালিগঞ্জ থেকে এখানে কেন? মধুজা বলেন, পার্টি মনে করেছিল, টালিগঞ্জ থেকে লড়তে হবে। এবার এখান থেকে। লড়াই করতে নেমেছি, কোনও বন্ধু নেই। ঝাড়গ্রামে বাছুরডোবায় বাড়ি মধুজার।

তিনি জানান, বিজেপির প্রার্থীকেও ছোট থেকে চিনি। সুখময় শতপথী। ছোট জনপদ তো। সবাই সবার মুখচেনা।

ছাত্র রাজনীতির হাত ধরে রাজনীতির শুরু। সেটা ২০০১ সালে। তবে রাজনীতির চেতনা ঝাড়গ্রাম গড়ে দিয়েছিল। আবৃত্তি, গণসঙ্গীতের অনুষ্ঠান যোগ দেওয়া। প্রেসিডেন্সি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই বিষয় নিয়েই স্নাতকোত্তর।

তিনি মুসমিল মহিলাদের ধর্মীয় অধিকার আইন ও সচেতনতা নিয়ে প্রজেক্ট কাজ করছিলেন। তখন পড়ুয়া। ২০১২ সালে এসএফআই-এর রাজ্য সভানেত্রী। ২০১৫ সালে কলকাতা জেলা সিপিআইএম, ২০১৮ সালে সিপিআইএম রাজ্য কমিটিতে জায়গা পান।

কী করে মানুষের কাছে পৌঁছেচ্ছেন? তিনি জানান, বাড়ি বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে। আর প্রচারের বিষয়? তাঁর জবাব, তৃণমূল এবং বিজেপি যা করেছে, সেগুলো বার বার জানানো। জনসাধারণের কমিটি কী করেছিল, মানুষ জানেন। জোর করে মিছিলে হাঁটানো হয়েছে। গাছ কাটা হয়েছে নির্বিচারে।

Advertisement

নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই অঞ্চলে গোলমালের মূল মদতদাতা শুভেন্দু রাতারাতি বিজেপিতে চলে গেলেন। এর বিরুদ্ধে রয়েছে প্রগতির লাল ঝান্ডা। বিজেপিতে যাওয়ার দুটো স্টেশন। প্রথমটা হল জনসাধারণের কমিটি, পরেরটা তৃণমূল। মানুষ তা বুঝতে পেরেছেন। তাঁর দাবি, নেতাই নিয়ে যাঁরা এত কিছু বলছেন, তাঁরা আদালতে বলুন!

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement