তৃণমূলে (TMC)নয়, বিজেপিতে (BJP) যাওয়া উচিত ছিল শুভেন্দুর। জানলে অবাক হবেন, স্কুল জীবন থেকে আরএসএস (RSS)করতেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে সেই কথা স্বীকার করলেন বর্তমানে রাজ্য় বিজেপির অন্য়তম কান্ডারি।
আরএসএস-এ যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ''সংঘের সঙ্গে কাজ করলেই যে বিজেপিতে যেতে হবে ,এমনটা নয়। আমি মনে করি, আরএসএস-এর সঙ্গে সরাসরি বিজেপির যোগাযোগ ছিল না। আমি অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে থাকাকালীন কাঁথিতে সংঘের শাখায় ট্রেনিং নিতে যেতাম। তাতে শরীর গঠন হয়। মনের বিকাশ হয়। দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। আরএসএস পৃথিবার সর্ববৃহৎ এনজিও। দেশভক্তি যার কাছে সব থেকে বড় জিনিস। আমি আমার স্কুল লাইভে গেছি। কিন্তু ওরা কখনও শেখায়নি এই রাজনৈতিক দল করতে হবে। বিজেপির সঙ্গে এর কোনও সরাসরি সম্পর্ক নেই। তবে শাখা যারা করেছেন, তাদের কাছে আরাধ্য় দেবী হলেন ভারতমাতা। এটা শিখিয়েছে শাখা।''
শুভেন্দু জানিয়েছেন, তৃণমূলে থাকাকালীনও তাঁর সঙ্গে আরএসএস-এর শাখার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না। তবে রাজ্য় বা জাতীয় স্তরের প্রমুখদের সঙ্গে কথা হত কখনও-কখনও। এক সময় কলেজে অ্যাকাউন্টস অনার্স পড়তেন শুভেন্দু। কলেজে ওনার শিক্ষাগুরু নলিনীকান্ত দাস আরএসএস-এর প্রচারক ছিলেন। তার সঙ্গে নিয়মিত যোগ ছিল। ওই প্রচারকের বাড়িতে যেতেন তিনি। এখনও বেঁচে আছেন আরও এক অধ্য়াপক তমলুকের সুধাংশু শেখর সামন্ত। এদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিন খেজুরিতে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে তৃণমূল নেত্র্রীর উদ্দেশ্য়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ''রাজ্য়ের পাঠ্য়পুস্তকে সিঙ্গুরের জায়গা হয়েছে , অথচ স্থান পায়নি নন্দীগ্রামের আন্দোলন। দিদিমণি আপনাকে একটা জায়গায় দাঁড়াতে হবে, দুটো জায়গায় দাঁড়ালে চলবে না। আমি তো বিজেপি করি। বিজেপির প্রার্থী মঞ্চে হয় না। এটা তো আর তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি নয়। যে আপনি আর ভাইপো মিলে যা বলবেন সেটাই আইন হবে। আপনি কার ভরসায় দাঁড়াবেন বলছেন ? হিসেবটা আমার কাছে আছে, গ্রামগুলো তো আমি চিনি। আপনি ৬২ হাজারের ভরসায় জিতবেন ভাবছেন ? পদ্ম তো জিতবে ২ লক্ষ ১৩ হাজারের ভরসায়। ২ লাখ ১৩ কারা জয় শ্রীরাম বলে যারা। ''