রাজ্যরাজনীতি যে বদলের অপেক্ষা করছিল বুধবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দুপুরে বিধানসভায় সশরীরে এসে বিধানসভার সচিবের হাতে পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পরই ফের আরেকবার দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরব হলেন আইনজীবী-সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুর এই পালা বদলের রাজনীতির খবর অনেক আগেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে জানিয়েছিলেন এদিন ফের এই সুরেই সরব হলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, "এটা আজ থেকে নয়, একবছর আগে থেকে চলছে। বিজেপির এক নেতা আমায় এসএমএস দেখিয়েছিল। ও অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। কিন্তু অমিত শাহ কী ভাষায় উত্তর দিয়েছিল তা এখন আর বলছি না। কথাটা দিদিমণিকেও বলেছিলাম, উনি বিশ্বাস করেননি। এখন দেখছি আমার কথা মিলে যাচ্ছে।"
এখানেই থেমে থাকেননি সাংসদ। শুভেন্দুকে কড়া আক্রমণ করে কল্যাণের দাবি, "এখন কেবলমাত্র মন্ত্রী বা বিধায়ক পদে মন ভরছে না। উপ মুখ্যমন্ত্রী হতে চায়। এরা সবাই ক্ষমতাপিপাসু।" এমনকী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুর শোনা গেল দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আগে থেকেই জানতেন। তবুও আমাদের তরফে চেষ্টা করেছি।"
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিদ্রোহী মনোভাব গলাতে শেষ চেষ্টা করেছিলেন সৌগত রায়। একান্তে বৈঠকও করেন নন্দীগ্রামের বিধায়কের সঙ্গে। পরবর্তী সদর্থক আশ্বাস দিলেও সৌগতর সব কথাই সংবাদমাধ্যমে নাকচ করে দেন শুভেন্দু নিজেই।
শুভেন্দুর বিধায়ক পদে ইস্তফা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিস্ফোরক ও প্রবল আক্রমণাত্মক মেজাজেই ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দুর দলত্যাগ তৃণমূলে প্রভাব ফেলবে না, এই আশ্বাসও দেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ২০০ টা সিট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হবে দেখবেন তখন আবার ফিরতে চাইছে। তবে এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মত কল্যাণের। এসব সবই নাটক চলছিল বলে দাবি তাঁর।