"যাঁরা নিজেরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় রেশন নেন এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা নেন, তাঁরাই পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মিথ্যাচার ও দুর্নাম করে।" হুগলির বৈদ্যবাটিতে কৃষি বিপণন দফতরে উদ্যোগে তৈরি নয়া সুসজ্জিত ছাত্রাবাসের উদ্বোধনে এসে এমটাই বললেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত (Tapan Dasgupta)। তিনি বলেন, "বাংলাকে গোটা দুনিয়ার সামনে উন্নয়নের মডেল হিসেবে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।" মন্ত্রীর মতে, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাদ্য সাথী, দুয়ারে সরকার শুধু বাংলাতেই নয়, গোটা ভারতের সামনে একটি উদাহরণ।"
অনুষ্ঠানে কৃষি বিপণন দফতরের সক্রিয়তার কথাও তুলে ধরেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত। বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদে এবং কৃষি বিপণন দফতরের সক্রিয়তার কারণে বর্তমানে রাজ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা আলুতে রং করে বিক্রি করতে ভয় পায়।" একইসঙ্গে বাংলায় এখন ৫ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন রাজ্যের মন্ত্রী। কেন্দ্রকে 'নির্লজ্জ সরকার' আখ্যা দেন তিনি। বলেন, "দেশের হাজার হাজার কৃষক দিল্লির রাস্তায় ঠাণ্ডায় আন্দোলন করছেন। দেড়শোর বেশি কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার কালা কৃষি আইন পাশ করে কৃষকদের স্বার্থকে গলা টিপে হত্যা করতে চাইছে।"
প্রসঙ্গত তপনবাবুর মতো একই কথা শোনা যায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। সাম্প্রতিক কালে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে 'ভাঁওতাবাজি' বলে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিজেপির নেতারা। তার জবাবে অভিষেক বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ভাঁওতাবাজি হলে দিলীপ ঘোষের পরিবার করেছে কেন।" একইসঙ্গে বিজেপির 'যমের দুয়ারে সরকার' মন্তব্যের বিরুদ্ধেও পালটা তোপ দাগেন অভিষেক। বলেন, "ওরা ঠিকই বলেছে, বিজেপির যম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" পাশাপাশি বিজেপির 'ডবল ইঞ্জিন সরকার'কেও কটাক্ষ করেন অভিষেক। বলেন, "ডবল ইঞ্জিনের একটা ইডি, আর একটা সিবিআই।"