Advertisement

West Bengal Election 2021: বিহারে বন্ধু কংগ্রেস, বঙ্গে TMC, কোন রণকৌশল RJD-র?

রবিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে আরজেডির (RJD) শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব জানিয়ে দেন ২০২১-র নির্বাচনে বঙ্গে আর কাউকে নয়, তৃণমূলকেই (TMC) সমর্থন করবেন তাঁরা। সোমবার নবান্নে বৈঠক হয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তেজস্বী যাবদের (Tejashwi Yadav) মধ্যে। সেখানেও তেজস্বী সাফ জানান লালুপ্রসাদ যাদবের নির্দেশ মতো আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করবে তাঁর দল। 

তেজস্বী যাবদ
প্রীতম ব্যানার্জী
  • কলকাতা,
  • 01 Mar 2021,
  • अपडेटेड 7:46 PM IST
  • বিহারে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে লড়াই আরজেডির
  • বাংলার ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন তেজস্বীর
  • কোন পথে লালুর দল?

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে জোট বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা গড়ে তুলেছে বাম, কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। সেই জোটে যোগ দিতে পারে আরজেডি, শোনা যাচ্ছিল এমনটাও। যদিও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। রবিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে আরজেডির (RJD) শীর্ষ নেতা তেজস্বী যাদব জানিয়ে দেন ২০২১-র নির্বাচনে বঙ্গে আর কাউকে নয়, তৃণমূলকেই (TMC) সমর্থন করবেন তাঁরা। সোমবার নবান্নে বৈঠক হয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তেজস্বী যাবদের (Tejashwi Yadav) মধ্যে। সেখানেও তেজস্বী সাফ জানান লালুপ্রসাদ যাদবের নির্দেশ মতো আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সমর্থন করবে তাঁর দল। 

কিন্তু প্রশ্ন হল, যেখানে বিহারে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়ল আরজেডি, সেখান পশ্চিমবঙ্গে কেন তৃণমূলকে সমর্থন? এই নিয়ে বিভিন্ন যুক্তি ও জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে ভারতের রাজনীতিতে এমন ঘটনা পূর্বেও দেখা গিয়েছে। যেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রেক্ষিতে বা বিভিন্ন রাজ্যের প্রেক্ষিতে অবস্থান ও রণকৌশল বদলেছে রাজনৈতিক দলগুলির। যেমন এরাজ্যের বাম কংগ্রেস জোটের কতাই ধরা যাক না। কেরলে বাম ও কংগ্রেস একে অপরে প্রতিপক্ষ হলেও এখানে তারা একই ছাতার তলায়। ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতির পরিস্থিতির বিচারে হয়ত কংগ্রেস ও বামেদের সঙ্গে না গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোই ঠিক বলে মনে করেছেন তেজস্বী যাদব। 

রয়েছে আরও যুক্তি। ব্রিগেডে আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী যে ধরনের বক্তব্য রেখেছেন তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল ও বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বাম এবং কংগ্রেসকে। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, "বিজেপি এবং কংগ্রেস আর জাতপাত মুক্ত দলের তালিকায় রইল না। বিজেপি নতুন দুজন বন্ধু পেল।" পাশাপাশি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "ভাইজানের ঔদ্ধত্য ও এই আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করব।" এই পরিস্থিতিতে সংযুক্ত মোর্চার শরিক হলে তাদের গায়েও হয়ত সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগিয়ে দিত বিজেপি ও তৃণমূল। তাই হয়ত এই সাবধানী পদক্ষেপ তেজস্বীর। 

Advertisement

তাছাড়া সাম্প্রতিককালে যে সি ভোটার সমীক্ষা বেড়িয়েছে তাতে দেখা গেছে এখনই ভোট হলে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। আর সূত্রের খবর এবারের নির্বাচনে হয়ত হিন্দিভাষী অঞ্চলে হাতে গোনা কয়েকটি আসন আরজেডিকে ছাড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে যদি সি ভোটার সমীক্ষার ফলাফল বাস্তবায়িত হয় এবং যদি কোনও আসনে আরজেডি জিততে পারে তাহলে পশ্চিমবঙ্গে সরকারের শরিক হওয়ার সুযোগ চলে আসবে তেজস্বীদের সামনে। আর সেই সুযোগ তিনি হারাতে চাইছেন না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ। হয়ত সেইসব কারণেই পশ্চিমবঙ্গে হাত নয়, ঘাসফুলকেই বেছে নিল লণ্ঠন।  

 


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement