নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ধুন্ধুমার! ৯ মাস ধরে কমিশন মিলছে না। এই অভিযোগ করে মন্ত্রীদের সামনে চলল ভাঙচুর, বিক্ষোভ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। সারা বাংলা এসএলও সংগঠন কলকাতায় এক সভা ডেকেছিল। সেখানেই গোলমাল বাধে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
শোভনদেবের আশা, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক বিষয়টির সমাধান করে দেবেন। এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিষয়টি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে।
জানা গিয়েছে, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক ছিল সেল্ফ এমপ্লয়েড লেবার অর্গানাইজেশনের। বৈঠকে সমাধানসূত্র না মেলায় পথ অবরোধ। অসংগঠিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার খাতে যে টাকা তোলা হত, তার জন্য এই অর্গানাইজেশন কমিশন পেত। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে এই কমিশন পাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ-অবরোধ। এদিন সভা চলার সময় তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক। তাদের সামনেই বিক্ষোভ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁদের বিক্ষোভ চলছে।
এরপর তাঁরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। চেয়ার ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ইন্ডোরের বাইরে লাগানো ফ্লেক্স ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁরা অবস্থান শুরু করেন। ফলে যান চলাচলে প্রভাব পড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মতায়েন করা হয়।
এক আন্দোলনকারী জানান, ৯ মাস কোনও আয় নেই। কমিশনের টাকা দিয়ে সংসার চতলত। লকডাউনের ডন্য টাকা নেই। মলয় ঘটনা মহাসমাবেশ করতে বলেছিলেন। তিনি দলের প্রচার করে গেলেন। আমাকে বেতন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
এদিন আর এক আন্দলোনকারী জানান, বেতনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা বলে এখানে ঢাকা হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। বেতন দিতেই হবে। না হলে যাব না। এখানেই অবস্থান শুরু করব।
পরে শোভনদেব জানান, বিষয়টি আমি আমাদের বুঝিয়ে বলেছিলাম। ৭ মাস কমিশন পাচ্ছেন না। এক অফিসার এসে ভুল কাজ করেছেন। ওয়েবসাইট উড়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করতে হয়। করোনার জন্য সমস্য়া হয়েছে। তবে নিশ্চিত করছি তাঁদের সমস্য়া মিটে যাবে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীা আশা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বাড়িয়েছেন। দপত্রের মন্ত্রী মলয় ঘটক করে দেবেন বিশ্বাস করি। তাঁদের আন্দোলন, দাবি সঠিক। মলয় যাতে মমতাকে বুঝিয়ে বলেন, তাঁদের পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়, সেটা বলব। ববি, সাধন সেখানে ছিল। আসলে ক্ষুধা মানুষকে পাগল করে দেয়। তাঁদের মধ্যে অনেকে বিবাহিত, সন্তান আছে। তাঁদের তো চাকরি নয়, কমিশনে চলে।একজন এমন মানুষকে আনা হয়েছিল, দুর্নীতি তো বটেই আরও অনেক কিছু। তাঁর জন্য এসএলও-টা উড়ে গিয়েছে।