Advertisement

Satabdi Roy: কুণাল-সৌগতর পরে এবার শতাব্দীর মান ভাঙাতে আসরে অভিষেক

দলে থেকেও বেসুরো গাইছেন তিনি। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা। এবার তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের(Satabdi Roy) মান ভাঙাতে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিল তৃণমূল। ইতিমধ্য়েই বীরভূমের সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌগতবাবু (Saugata Roy)।

শতাব্দী রায়
ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু
  • কলকাতা,
  • 15 Jan 2021,
  • अपडेटेड 8:25 PM IST
  • দলে থেকেও বেসুরো গাইছেন তিনি।
  • এবার তৃণমূলের সাংসদ শতাব্দী রায়ের(Satabdi Roy) মান ভাঙাতে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিল তৃণমূল।
  • ইতিমধ্য়েই বীরভূমের সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌগতবাবু (Saugata Roy)।

 

বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রাযের মান ভাঙাতে এবার ময়দানে নামলেন স্বযং তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দিল্লি যাওযার কথা ক্ষুব্ধ শতাব্দীর। তার আগের রাতেই বীরভূমের তিন বারের সাংসদকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন অভিষেক। শতাব্দী বেসুরো গাইতেই এদিন সারাদিন তাঁর সঙ্গে  একর পর এক তৃণমূল নেতৃত্ব ফোনে কথা বলেন। শোনা যায় প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাকি শতাব্দীর সঙ্গে প্রয়োজনে কথা বলবেন। এর মাঝেই খবর পাওয়া যায় অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে শতাব্দীকে নিয়ে হাজির হন কুণাল ঘোষ। সেখানেই দুই তরফের কথা হয়। এদিন সকালে অবশ্য শতাব্দীর মান ভাঙাতে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিয়েছিল তৃণমূল। সেই মতো  বীরভূমের সাংসদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন সৌগতবাবু (Saugata Roy)। 

তৃণমূলের বর্যীয়ান সাংসদ জানিয়েছেন, ফোনে শতাব্দীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। শতাব্দী এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। দল তাঁর সব ধরনের অভাব অভিযোগ শুনবে। তৃণমূলে শতাব্দী রায় সম্পদ বলেই মন্তব্য় করেছেন সৌগত রায়। 

রাজ্য় রাজনীতির সাম্প্রতিক উপাখ্য়ান বলছে, ফেসবুকে পোস্ট করে দলের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বীরভূমের সাংসদ। আগামীকালই তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বঙ্গ বিজেপির নির্বাচনী কৌশিল নিয়ে আজ থেকেই দিল্লিতে শুরু হয়েছে আলোচনা। সেখানে উপস্থিত থাকছেন রাজ্য়ের প্রতিনিধিরা। তাই আগামীকাল শতাব্দীর দিল্লি যাওয়া নিয়ে বিজেপি যোগের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। 

এদিন সকালে শতাব্দী সম্পর্কে সৌগত রায় বলেন, ওর আপত্তি থাকতেই পারে । কিন্তু পার্টিতে বললে এখনও সেগুলো সমাধান হতে পারে। আমি বলব যাতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে সবার সঙ্গে কথা বলে নেন। ও তো লোকসভার আমাদের দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও জানাতে পারতেন। আমি তো দেখলাম বোলপুরে  মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে রোড শোয়ে অনেকক্ষণ তিনি মুখ্য়মন্ত্রীকে কাছে পেয়েছেন। সেই সময় মুখ্য়মন্ত্রীকে বললেন না কেন ?

Advertisement

কাল থেকেই বেসুরো তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গে করেছেন  ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। এদিন তিনি বলেন, "২০০৯ সালে আমি প্রথমবার সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হই। তখই সবাই বলতেন উনি একজন অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ নন। কিন্তু সবাই যে ভুল এটা আমি প্রমাণ করেছি। আজকে আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে সকলে জিজ্ঞাসা করছেন, কেন আমি থাকি না। আমি তাঁদের উত্তর দিয়েছি এতে আমার কোনও দোষ নেই। আসল সমস্যাটা হচ্ছে, আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে আমাকে ডাকা হয় না কোনও দলীয় অনুষ্ঠানে। এটা কোনও অযৌক্তিক নয় যে আমি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারি। আমি একজন সাংসদ, আমি সংসদ ভবনে যেতে পারি। আমি আমার নির্বাচনী কেন্দ্র সময় দিতে চাই। যাতে আমার দোষ নেই, সেটায় আমায় দায়ী করা উচিত নয়।"

এদিকে অমিত শাহের সঙ্গে শতাব্দী রায়ের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সৌগতবাবু বলেন, ''এমনিতে ওনার সঙ্গে দেখা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তার কারণ এমপিরা গেলে পার্লামেন্ট হাউসের ভিতরেই থাকেন। কোনও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে অফিসেই যেতে হয়। অ্য়াপয়নমেন্ট করেই সেখানে যেতে হয়, শতাব্দী সেই অ্য়াপয়েন্টমেন্ট করেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।''

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement